নয়াদিল্লি:  রাজধানী দিল্লিতে ৬৯তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান আজ প্রথম বা চতুর্থ সারিতে বসে নয়, ষষ্ঠ সারিতে বসে দেখেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এবং অন্যান্য প্রবীণ বিজেপি নেতাদের থেকে অনেক দূরে রাহুল আজ আমজনতার কাছাকাছি বসেছিলেন। আর এই ঘটনাতেই বেজায় চটেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে সামনের সারিতে কোনও বসার জায়গা দেওয়া হয়নি। এই ঘটনাকে শাসকের ইচ্ছাকৃতভাবে অপমানজনক ঘটনা বলেও মন্তব্য করে কংগ্রেস।

রাহুলের সঙ্গে বসে আজকের অনুষ্ঠান দেখেন রাজ্যসভার বিরোধী নেতা, কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ। কংগ্রেস সভাপতির নিরাপত্তা বাহিনীকে স্বাভাবিকভাবেই রাহুলের পিছনের সারিতে বসতে হয়ে, যার জেরে বহু আমজনতার অনুষ্ঠান দেখতে অসুবিধা হয়। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে দলের প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গে প্রথম সারিতে বসে অনুষ্ঠান দেখতে দেখা যায়।

এভাবে রাহুলকে হেনস্থা করায় কংগ্রেস নেতা রণদীপ সূর্যেওয়ালা বলেন, সরকারের নোঙরা রাজনীতির অংশ এটা। কংগ্রেসের দাবি, এই ঘটনায় দীর্ঘদিনের প্রটোকল ভাঙা হল, ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্থা করা হয়েছে রাহুলকে। সনিয়া গাঁধী দলের সভপতি থাকাকালীন সবসময় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রথম সারিতে বসতেন।

এদিকে দিল্লির আজকের কুচকাওয়াজে প্রথমবার ১০ আসিয়ান দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ১০০ ফুট চওড়া মঞ্চে বসে অনুষ্ঠান দেখেন। বিজেপির আজকের আচরণ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, দেশের শাসক দল কখনও চায়নি কংগ্রেসের সঙ্গে দেখা হোক বিদেশী প্রতিনিধিদের।