জয়পুর: বিয়ে বনাম ম্যারাথন – এমন উদ্ভূত সমস্যার অভিনব সমাধান বের করলেন এক ‘দৌড়-প্রেমী’ দম্পতি।


ঘটনায় প্রকাশ, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি কবিতা বাত্রার সঙ্গে বিয়ে স্থির হয়েছে বেঙ্গালুরুর অনন্ত ত্রিবেদীর। কিন্তু, একইদিনে জয়পুরে হাফ-ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ও রেস্তোরাঁর মালিক অনন্ত।


এই দুয়ের জাঁতাকলে, বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন ম্যারাথন-প্রেমী অনন্ত। ভেবে পাচ্ছিলেন না, কী করবেন। কারণ, বিয়েটাও গুরুত্বপূর্ণ। আবার ম্যারাথনেও সুযোগও তো সচরাচর আসে না। এমন সময়ে অভিনব সমাধান সূত্র খুঁজে বের করলেন দম্পতি।


স্থির হয়েছে, অনন্ত ওইদিন ম্যারাথনে অংশ নেবেন। আর হাতে মালা নিয়ে কবিতা অপেক্ষা করবেন ফিনিশিং লাইনে। যুগলের সিদ্ধান্ত, যেই ফিনিশিং লাইন পার করবেন অনন্ত, সেখানেই তাঁর গলায় বরমালা পরিয়ে বিয়ে করবেন কবিতা।


অনন্ত জানান, তিনি ও তাঁর হবু স্ত্রী দুজনই প্রায়ই এধরনের ম্যারাথনে অংশ নেন। কিন্তু, চোটের কারণে, এবার কবিতা ম্যারাথনে অংশ নিতে পারছেন না। তাই দৌড় শেষে বিয়ে করব বলে মনস্থির করেছি। একইসঙ্গে, সমাজকে বার্তাও দেওয়া হবে।


জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লিতে কবিতার সঙ্গে পরিচয় হয় অনন্তের। গত তিন বছর ধরে দুজনই বেঙ্গালুরুতে বসবাস করেন। সেখানে একটি সফটওয়্যার সংস্থায় কর্মরত কবিতা। অন্যদিকে, সেখানে একটি রেস্তোরাঁ চালান অনন্ত।


এখনও পর্যন্ত ৩টি ফুল-ম্যারাথন এবং ৪টি হাফ-ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন অনন্ত। পাশাপাশি, গত বছর নভেম্বরে বেঙ্গালুরু থেকে সাইকেলে জয়পুর যাত্রা করেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে তিনি জয়সলমের ও সিমলায় সাইকেল প্রতিযোগতায় তিনি যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান দখল করেছিলেন।


যদিও, এবার স্থান দখলের কোনও চাপ নেই। কারণ, তিনি যে কোনও স্থানে দৌড় শেষ করুন না কেন, কবিতা তাঁর জন্য মালা নিয়ে তৈরি থাকবে। দম্পতির প্রায় জনা পঁচিশেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু এই অভিনব অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে চলেছেন।