নয়াদিল্লি: টেলিফোন করে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শরিক বিজেপির সঙ্গে জেডিইউ-র সম্পর্কের টানাপোড়েনের জল্পনার মধ্যে এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
নীতীশের এই উদ্যোগ রাজ্যের শাসক জোটের দুই শরিকের মধ্যে দূরত্ব বাড়ার জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে। যদিও আরজেডি-র সঙ্গে জেডিইউ-র নতুন কোনও সম্পর্কের সমীকরণের অনুমান খারিজ করে দিয়েছেন লালুর ছেলে তেজস্বী।
'কাকা' এত দেরী করে তাঁর বাবার খোঁজ নেওয়ায় ক্ষোভ গোপন করেননি তেজস্বী যাদব। নীতীশের টেলিফোনে খোঁজ নেওয়াকে নিছক সৌজন্য বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
দুদিন আগে অস্ত্রোপচারের পর মুম্বইয়ের হাসপাতালে চিকিত্সাধীন লালু। গত রবিবার এশিয়ান হার্ট ইন্সস্টিটিউটে তাঁর ফিশচুলার অস্ত্রোপচার হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরই কংগ্রেস-আরজেডির সঙ্গে মহাজোটবন্ধন ছেড়ে ফের এনডিএ শিবিরে ভিড়েছিলেন নীতীশ। কিন্তু বিভিন্ন কারণেই বিজেপির সঙ্গে জেডিইউ-র সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে বলে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে সাজাপ্রাপ্ত লালু বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। মুম্বইয়ে তাঁর অস্ত্রোপচারের পর কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়া ও অশ্বিনী চৌবে ইতিমধ্যেই লালুর সঙ্গে দেখা করেছেন। এরপর নীতীশও টেলিফোনে লালুর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।


তেজস্বীর ট্যুইট, 'সৌজন্যতার খাতিরেই টেলিফোন করেছিলেন নীতীশ। এতে অন্য কিছু নেই। আশ্চর্যের ব্যাপার, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চারমাস পরে নীতীশজী জানতে পারলেন যে, লালুপ্রসাদ অসুস্থ'।