ত্রিবান্দ্রম: রাস্তার কুকুরের উপদ্রবে নাকি শান্তিতে হাঁটাচলা করা যাচ্ছে না। তাই কেরলে রাস্তার কালু, লালু, ভুলুদের মারার জন্য ফরমান জারি করেছে পালা এলাকার সেন্ট থমাস কলেজের প্রাক্তনী সংগঠন। যে সংস্থা সবথেকে বেশি পথের কুকুর মারবে, তাদের সোনার মোহর পুরস্কার দেবে তারা। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই কুকুর মারার প্রতিযোগিতা। ইচ্ছে মত কুকুর মারুন, যত বেশি মারবেন তত বেশি সোনা জমা পড়বে অ্যাকাউন্টে।

হিসেব বলছে, গত ৪ মাসে কেরলে ৪জন কুকুরের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন, আহত ৭০০-র বেশি। তাই রাজ্যজুড়ে কুকুর মারার আহ্বান জানিয়েছেন সেন্ট থমাস কলেজের প্রাক্তনীরা। যে সব পঞ্চায়েত ও পুরসভা সবথেকে বেশি কুকুর মারার কৃতিত্ব দেখাবে, তাদের প্রধানদের হাতে সোনার মোহর তুলে দেওয়া হবে।

পথের কুকুরদের প্রতি এই কলেজের প্রাক্তনী সংগঠনের বিদ্বেষ এই নতুন নয়। এর আগেও কুকুর মারার জন্য সস্তায় এয়ারগান বিক্রি করে এরা খবরে এসেছিল। তাদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষকে হিংস্র কুকুরের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে কুকুর নিধনই একমাত্র পথ। রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে কিছুই করছে না বলে তাদের অভিযোগ।

যে সব সরকারি সংস্থা সোনার মোহরের জন্য আবেদন করবে, তাদের প্রতিদিনের কুকুর মারার পরিষ্কার হিসেব দিতে হবে।

২৬ তারিখ একদল কুকুরের আক্রমণে ভারকালা এলাকায় রাঘবন নামে এক ৯০ বছরের বৃদ্ধর মৃত্যু হয়। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কেরলে রাস্তার কুকুরের সংখ্যা কমাতে হবে। যদিও সমালোচকদের অভিযোগ, রাজ্যের পর্যটনের বাড়বাড়ন্ত করার জন্যই এভাবে নির্মমভাবে কুকুর নিধন শুরু করেছে পিনারাই বিজয়ন সরকার।