নয়াদিল্লি: 'পদ্মাবত' বিতর্কে নয়া মোড়। ছবির মুক্তির ঠিক আগে এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন গুজরাতের পাতিদার নেতা হার্দিক পটেল। গুজরাত রাজনীতির সমীকরণে বদল তিনি এনেছেন বলে মত অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদেরই। এবার সেই হার্দিক দাবি তুললেন, গুজরাতে 'পদ্মাবত' সিনেমা প্রদর্শন করতে দেওয়া চলবে না। এই দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির কাছে চিঠিও লিখেছেন হার্দিক। চিঠিতে বলা হয়েছে, 'পদ্মাবত' সিনেমায় ঐতিহাসিক তথ্যের বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। রাজপুত ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে। তাই রাজ্যে সিনেমার মুক্তি বন্ধ রাখা উচিত।
উল্লেখ্য, কার্নি সেনা ও রাজপুত সমাজের মতো সংগঠন 'পদ্মাবত' সিনেমার মুক্তির বিরোধিতা করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।আহমেদাবাদে গতকাল কয়েকটি কার্নি সেনার বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। তিনটি মলে ভাঙচুর চালানো হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় বাইকে।
এসবের মধ্যেই হার্দিকের গলায় 'পদ্মাবত'-এর বিরোধিতা তাত্পর্য্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে হার্দিক লিখেছেন, মহারাণী পদ্মাবতী নিজের রাজ্য ও মহিলাদের সম্মান রক্ষায় আত্মবিসর্জন দিয়েছিলেন। এই ইতিহাসের যাতে বিকৃতি ঘটানো না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্বের কথাও মুখ্যমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেজন্য এই সিনেমা যাতে রাজ্যে মুক্তি না পায় তার দাবি জানিয়েছেন হার্দিক। তরুণ এই পাতিদার নেতা আরও বলেছেন, রাজ্যে পদ্মাবত মুক্তি পেলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায় মুখ্যমন্ত্রীকেই নিতে হবে।