রাঁচি:  উত্তরপ্রদেশে বেআইনি কসাইখানা বন্ধের নির্দেশিকা জারির পর, ভারতের আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও একই নির্দেশ জারি হল। ঝাড়খণ্ডের সমস্ত বেআইনি কসাইখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে, তারমধ্যে সমস্ত বেআইনি কসাইখানাগুলোকে হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে লাইসেন্স নিতে হবে, না হলে ব্যবসা বন্ধের সম্মুখীন হতে হবে, জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।


সোমবারই ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি এসকেজি রাহাতে এই সংক্রান্ত একটি নয়া নির্দেশিকা তৈরি করে রাজ্যের সমস্ত ডেপুটি কমিশনার, এসপি এবং পুরসভার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এমনকি প্রত্যেককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের এলাকার সমস্ত বেআইনি কসাইখানা যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে। সম্প্রতি ফুড সেফ্টি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া সারা দেশে ৬২টি কসাইখানাকে লাইসেন্স দিয়েছে। সূত্রের খবর, তারমধ্যে একটিও ঝড়খণ্ডের অন্তর্গত নয়। তবে রাঁচি পুরসভা কয়েকটি কসাইখানাকে লাইসেন্স প্রদান করেছে বলে জানা গিয়েছে।

এই নয়া নির্দেশিকার ফলে যেসমস্ত ব্যবসায়ী যারা খাসির মাংস এবং চিকেন বিক্রির সঙ্গে যুক্ত তাদের পুর কর্তৃপক্ষের থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। কিন্তু যে সমস্ত ব্যক্তি গরু ও মহিষের মাংস বিক্রির সঙ্গে যুক্ত, তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ২০০৪-০৫ সালে একবার ঝাড়খণ্ড সরকার বেআইনি কসাইখানাগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। আইন না মানলে দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছিল।

রাঁচি পুরসভার ডেপুটি মেয়র সঞ্জীব বিজয়বর্গীয়র দাবি, রাজ্যের বেশিরভাগ কসাইখানাই লাইসেন্স না নিয়ে বেআইনি ভাবে গোহত্যা করে গোমাংস বিক্রি করছে। এগুলোই অবিলম্বে বন্ধ করা তাঁদের প্রধান লক্ষ্য।