সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, এবার থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় মারমুখী জনতাকে সামলাতে পেলেট গানের বদলে প্রথমে প্লাস্টিকের বুলেট ব্যবহার করবে নিরাপত্তাবাহিনী। পেলেট গান কাজে লাগানো হবে একেবারে শেষ উপায় হিসাবে, যাতে প্রাণহানির সম্ভাবনা কম হয়। এই বুলেট হাড়-মাংস ভেদ করে ভিতরে ঢোকে না। ইনসাস রাইফেল থেকে এই বুলেট ছোঁড়া যায়। বর্তমানে নিরাপত্তাবাহিনী অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহারের আগে শেষ অস্ত্র হিসাবে পাভা শেল ও পেলেট গান প্রয়োগ করছে। পাভা অর্থাত পেলারগনিক অ্যাসিড ভ্যানিইল অ্যামিডে লঙ্কার গুঁড়ো থেকে তৈরি মশলা যা তেমন প্রাণঘাতী নয়, টার্গেটকে সাময়িক অচল করে দেয়। অন্য যেসব কম মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে আছে ডাই মার্কার গ্রেনেড যা গায়ে লাগার পর দাগ পড়ে যাবে যা থেকে শনাক্ত করা যাবে বিক্ষোভকারীকে।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কাশ্মীর উপত্যকায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নাবালকদের আঘাত পাওয়া নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছিল, সন্তানরা প্রতিবাদ, বিক্ষোভে সামিল হওয়ায় ওদের অভিভাবকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকারের কাছে তাও জানতে চেয়েছিল।
গত ১৪ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে বিক্ষোভ মোকাবিলায় নির্বিচারে পেলেট গান ব্যবহার করা ঠিক নয়, প্রশাসন-কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই পরিস্থিতি বিচার করে সঠিক বিবেচনা করেই তা কাজে লাগাতে হবে। তত্কালীন প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কেন্দ্র ও জম্মু-কাশ্মীর সরকারকে নোটিস দিয়েছিল, রাজ্যে পেলেট গানের মাত্রাছাড়া ব্যবহারের অভিযোগ জানিয়ে পেশ হওয়া পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছিল।