নয়াদিল্লি: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজনের পর এবার মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (সিইএ) অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যমের পালা। আরেক শীর্ষস্থানীয় আমলার বরখাস্তের দাবি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।


ঠিক যেভাবে রাজনকে আক্রমণ করেছিলেন, তেমন ভাবেই এবার অরবিন্দকে আক্রমণ করলেন স্বামী। অরবিন্দকেও ‘কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ’ বলে কটাক্ষ করে তাঁর বরখাস্তের দাবি তুললেন এই বিজেপি নেতা। স্বামীর দাবি, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ‘বদনাম’ করে বেরিয়েছেন অরবিন্দ। পাশাপাশি, বর্তমান সিইএ-র বিরুদ্ধে পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থানকে সমর্থন করার অভিযোগ তোলেন স্বামী।

সম্প্রতি, ট্যুইটারে অরবিন্দকে আক্রমণ করে স্বামী লেখেন, ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ, কে বলেছিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাগ্রহণ করা উচিত? তিনি হলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম। তাঁকে বরখাস্ত করুন। আরেকটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, কে জিএসটি নিয়ে কংগ্রেসের হাত মজবুত করেছে? ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আসা জেটলির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ।

কিন্তু, কেন এই আক্রমণ? স্বামীর দাবি, রাজনের মতো অরবিন্দও মার্কিন গ্রিনকার্ড হোল্ডার। তিনি বলেন, উনি তো আমেরিকায় কাজ করেন। তিনি গ্রিনকার্ড অধিকারীও। স্বামী যোগ করেন, আমি জানি না, উনি ভারতীয় নাগরিক কি না।

বিজেপি নেতার অভিযোগ, ওষুধের কোম্পানিগুলির একটি ইস্যু নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের কমিটিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অরবিন্দ বলেছিলেন, আমেরিকার কথা অনুযায়ী ভারত কাজ করছে না। তাই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লুটিও)-তে তাদের শিক্ষা দেওয়া দরকার! স্বামীর প্রশ্ন, কী করে এমন একজনকে এদেশে উপদষ্টা করা হয়?

এখানেই থেমে না থেকে স্বামীর আরও দাবি, ভারত সরকার তাঁকে নিয়োগ করার পর এই অরবিন্দ অর্থমন্ত্রককে জানিয়েছিলেন, জিএসটি বিল নিয়ে কংগ্রেস যে শর্ত রেখেছে, তা যুক্তিযোগ্য। এরপরই স্বামী বলেন, এধরনের মানুষ আমাদের সরকারকে ফেলে দিতে পারে। দুবছর পার হয়েছে। এবার সময় হয়েছে (ওঁকে বিদায় করার) বলেও জানান স্বামী।

বস্তুত কয়েকদিন আগেই স্বামী জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে ২৭ জনের (আমলা) তালিকা রয়েছে। যাঁরা বিভিন্ন সরকারি দফতরে কাজ করছেন অথচ ‘টিডিকে’-ঘেঁষা। (এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ট্যুইটারে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে রামায়ণের চরিত্র তাড়কা রাক্ষসীর সঙ্গে তুলনা করে থাকেন স্বামী। তাড়কাকেই সংক্ষিপ্তভাবে টিডিকে বলে সম্বোধন এই বিজেপি নেতা)।

অরবিন্দের পাশাপাশি, ফের রাজনকেও একহাত নেন স্বামী। তাঁর ইস্তফা দেওয়ার প্রসঙ্গকে কটাক্ষ করে স্বামী বলেন, ‘উনি দ্বিতীয় বার ওই পদে আসীন হতেন কি না তা কারও জানা নেই। ফলে, উনি যদি ইস্তফা দিয়ে নিজের আত্মসম্মান রক্ষা করছেন বলে ভেবে থাকেন, তাহলে তা ভাবতেই পারেন। আমার কোনও আপত্তি নেই।’