প্রশান্ত আর নীতি- পেশায় উদ্যোগপতি দুজনেই। কাজ করেন প্রযুক্তি নিয়ে। ঠিক করেছিলেন, বিয়ে যখন করবেন, এমনভাবে করবেন যাতে বন্ধুবান্ধবরা তা মনে রাখেন দীর্ঘদিন। তাই বিয়ের নেমন্তন্ন পেয়ে আত্মীয়স্বজন যখন সবে ভাবতে বসেছেন, কী উপহার দেওয়া যায়, বর কনে মুশকিল আসান করে জানিয়ে দিলেন, তাঁদের পছন্দের উপহার বিটকয়েন।
বিটকয়েনের সরকারি স্বীকৃতি নেই। কিন্তু প্রশান্ত-নীতি দুজনেই এই ডিজিটাল মুদ্রায় বেশ কিছু বিনিয়োগ করেছেন। তাই অভ্যাগতদের তাঁরা জানিয়ে দেন, কীভাবে বিটকয়েন উপহার দিতে হবে তাঁদের। প্রথমে বিয়ের জন্য তাঁরা চুক্তিবদ্ধ হন ভারতীয় ক্রিপটোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম জেবপের সঙ্গে। বিয়ের কার্ডেও ছিল জেবপে লোগো, তাতে কিউআর কোড, নীচে ছাপা পাওয়ার্ড বাই জেবপে। আর কার্ডের পিছনে লেখা ছিল কীভাবে বিটকয়েন কিনতে হবে।
নবদম্পতি জানিয়েছেন, বিয়েতে যোগ দেওয়া ২০০ অতিথির ৯৫ শতাংশই বিটকয়েন উপহার দিয়েছেন তাঁদের। শুধু গোটাদশেক এসেছে অন্য, বাঁধাধরা উপহার।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অবশ্য ভারতে বিটকয়েনের আচমকা বাড়বাড়ন্ত ভাল চোখে দেখছে না ফলে এত বিটকয়েন নিয়ে প্রশান্ত-নীতির খুব একটা উপকার নাও হতে পারে। তবে তাঁরা ভাবছেন ভবিষ্যতের কথা। তাঁদের বিশ্বাস, বিটকয়েনই ভবিষ্যৎ, এখন থেকেই তাতে বিনিয়োগ করে রাখা ভাল।