রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর কনরাড বলেছেন, ‘জোট সরকার চালানো সহজ নয়। তবে আমার আশা, যে সাংসদরা আমাদের সঙ্গে আছেন তাঁরা রাজ্য ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। আমরা সবাই মিলে রাজ্যের উন্নতির জন্য কাজ করব। বুধবার বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে ২-৩ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। বুধবারের মধ্যেই যা করার করে নিতে হবে। আগামীকালের মধ্যেই সরকার গঠনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।’
আজ এনপিপি-র পাশাপাশি ইউডিপি, বিজেপি ও এইচএসপিডিপি বিধায়করাও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। এরপরেই অ-কংগ্রেসি সরকার গঠনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। এর আগে কংগ্রেস নেতারাও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে মুকুল সাংমার নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কংগ্রেসের উদ্যোগ ব্যর্থ হল।
বিজেপি নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, ‘কনরাডই মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। এই সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে কেউ থাকবেন না। এখন আমাদের কাছে ৩৪ জন বিধায়কের সমর্থন আছে। এনপিপি-র ১৯, বিজেপি-র ২, ইউডিপি-র ৬, এইচএসপিডিপি-র ২, পিডিএফ-এর ৪ ও একজন নির্দল বিধায়ক জোট করেছেন। এই জোটে আরও কয়েকজন বিধায়ক যোগ দিতে পারেন।’
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে আক্রমণ করে হিমন্তবিশ্ব বলেছেন, ‘সরকার গড়ার বিষয়ে কোনওরকম হিসেব-নিকেশ না করেই চারজন প্রবীণ নেতাকে শিলঙে পাঠিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। তাঁর মধ্যে পরিপক্কতা দেখতে পাচ্ছি না।’