উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে একটি অনুষ্ঠানে ডোভাল বলেছেন, কারুর ইচ্ছে অনুসারে নয়, প্রয়োজন ও বিপদ বুঝেই ভারত যুদ্ধ করবে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ডোভালের এই মন্তব্যকে চিনের বিরুদ্ধে বার্তা হিসেবে দেখানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, শুধুমাত্র সভ্যতা ও আধ্যাত্মিক প্ররিপ্রেক্ষিতে ডোভালের এই মন্তব্য।
কেন্দ্রের এই ব্যাখ্যায় জানানো হয়েছে, ঋষিকেশে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোভাল। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি কোনও দেশ বা কোনও নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উল্লেখ করেননি।
উত্তরাখণ্ডের পরমার্থ নিকেতনে গতকাল কথা বলতে গিয়ে ডোভাল জানিয়েছেন, কীভাবে ভারত আগেও ‘রাষ্ট্র’ বা ‘সভ্যতা’ হিসেবে ছিল, কিন্তু ‘রাজ্য’ বা ‘জাতি’ হয়েছে ১৯৪৭-এ।
ডোভাল বলেছিলেন,’ আমাদের দেশ, ভারত একটি সভ্যতাগত দেশ, তা ধর্মের ভিত্তিতে নয়. ভাষার ভিত্তিতে নয়, জাতিসত্ত্বার ভিত্তি নয়, বরং সভ্যতাভিত্তিক’।
ভারতের সন্তদের এবং দেশ গঠনে তাঁদের ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। ভারতের আধত্ম্যবাদের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার আর্জিও তিনি জানান।
দেশের ভৌগলিক সীমা থাকে, কিন্তু জাতি একটি আবেগগত বন্ধন, আধ্যাত্মিকতা ও সংস্কৃতির সূত্রে গ্রন্থিত। এই আধ্যাত্মিকতা ও সংস্কৃতি নিয়ে যেখানে যৌথ গর্বের অনুভূতি থাকে। এই বৃহত্তর যৌথ পরিচয়ের সুরক্ষাই গুরু ও আধ্যাত্মিক কেন্দ্রগুলির ভূমিকা।
এরমধ্যে বিজয়া দশমীর ভাষণে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে এবং চিনের হঠকারিতার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।