নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্চ (এনএসই) একটি ট্যুইটের ছবি ঘিরে জোর শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আসলে এনএসই-র ওই ট্যুইটে অভিনেত্রী মৌনি রায়ের একটি খোলামেলা ছবি শেয়ার করা হয়েছিল। আর তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর আলোড়ন দেখা দেয়। এই ছবি নিয়ে নেটিজেনরা মজা-মশকরায় মেতে ওঠেন। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য এনএসই-র ট্যুইটার পেজ থেকে ওই ট্যুইট সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর এনএসই ট্যুইট করে তাদের ফলোয়ারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে জানায়-এটি নিছকই মানবিক ত্রুটি। কিন্তু তারপরও সোশ্যাল মিডিয়ায় এনএসই-র ওই ট্যুইটের স্ক্রিনশট খুবই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
গত শনিবার দুপুরে আচমকাই এনএসই-র অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে মৌনি রায়ের ওই ছবি ট্যুইট করা হয়। ছবিতে মৌনি রায়কে কালো রঙের পোশাকে দেখা গিয়েছিল। ভুল বোঝার সঙ্গে সঙ্গেই ট্যুইটটি সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ট্যুইট করে এনএসই-র পক্ষ থেকে ফলোয়ারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।



শনিবার এনএসই ট্যুইটে লেখে, আজ দুপুর ১২.২৫ টায় এনএসই-র হ্যান্ডেলে একটি অবাঞ্ছিত ছবি পোস্ট হয়েছিল। এটি এনএসই-র ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থার পক্ষ থেকে নিছকই একটি মানবিক ত্রুটি। কোনও ধরনের হ্যাকিং নয়। অসুবিধার জন্য ফলোয়ারদের প্রতি আমাদের খেদ জানাচ্ছি।
যদিও এই ট্যুইটের পর এই ত্রুটির জন্য ইউজাররা এনএসই-কে ট্রোল করতে শুরু করে। তারপর দেখতে দেখতেই সেই ট্যুইটের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই ট্যুইট এনএসই-র ট্যুইটার হ্যান্ডেলে আসতেই ইউজারদের কেউ কেউ এর স্ক্রিনশট নিয়ে নেন। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, ওই ট্যুইটার হ্যান্ডেল কেউ হ্যাক করেছে। কিন্তু এনএসই ক্রুটি স্বীকার করার পর তা নিয়ে ইউজারদের একাংশ হাসিঠাট্টায় মেতে ওঠেন। না ধরনের মজাদার ও তীর্যক মন্তব্যে ইউজাররা তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন।

কিউ কি সাস ভি কভি বহু থি টেলিভিশন সিরিয়ালের মাধ্যমে বিনোদন দুনিয়ায় জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মৌনি রায়। ইনস্টাগ্রামে তিনি খুবই জনপ্রিয়।  মাঝেমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে তিনি ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে থাকেন। আর সেগুলি লক্ষ লক্ষ অনুরাগীর লাইক পায়। তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ১৪.৫ মিলিয়ন।