মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের উরন বন্দর এলাকায় জঙ্গি-আতঙ্কের জেরে গোটা এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, চার-পাঁচজন সশস্ত্র সন্দেহভাজনকে ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি করে দুই স্কুল ছাত্র। সেই দাবিকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। গোটা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রের দাবি, সেনার পোশাকে দু’দলে ভাগ হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ঘোরাঘুরি করছে ওই সন্দেহভাজনরা। সবার কাছেই ব্যাকপ্যাক ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল! শুধু তাই নয়, তারা ওএনজিসি-র দিকে যাবে বলে নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করছিল। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে জানান ওই স্কুলের অধ্যক্ষ। এরপরই তুঙ্গে ওঠে তৎপরতা। দুই ছাত্রের কাছ থেকে আলাদা আলাদা ভাবে পাওয়া বয়ান মিলে যাওয়ার পরই তত্পর হয়ে ওঠে নভি মুম্বই পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। উরন শহরের কাছে করাঞ্জায় নৌবাহিনীর বেস ক্যাম্প। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনার মোকাবিলায় তৈরি নৌবাহিনি। তল্লাশি চালাচ্ছে নভি মুম্বই পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। আকাশপথেও নজরদারি চালাচ্ছে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার। তবে এখনও পর্যন্ত কিছু মেলেনি। মুম্বই সহ গোটা মহারাষ্ট্রে হাই অ্যালার্ট জারি। সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে তথ্য জানাতে মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে বিশেষ ফোন নম্বর। উরনের করঞ্জাতেই রয়েছে নৌসেনার ঘাঁটি। উরন থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরেই ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার। এখান থেকে এনএসজি হাবের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। শিশুদের দেওয়া খবর, কিন্তু তাকে মোটেও উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন! সে কারণেই বন্দর শহর উরনে সশস্ত্র সন্দেহভাজনদের ঘোরার খবরকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও।