১৯৭৪-এ ভারতের প্রথম পরমাণু পরীক্ষার প্রেক্ষিতে তৈরি হয় এই নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ। এদের লক্ষ্য হল, পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিক্রয়ে বিধিনিষেধ এনে পৃথিবী জুড়ে পরমাণু অস্ত্রের বাড়বাড়ন্ত বন্ধ করা। পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধ চুক্তি বা এনপিটি সই না করেও আমেরিকার সঙ্গে অসামরিক পরমাণু চুক্তির দৌলতে ভারত অবশ্য এনএসজি সদস্যদের সিংহভাগ সুযোগসুবিধে ভোগ করে। ভিয়েনায় এনএসজি বৈঠকে চিন সেই প্রসঙ্গই তুলে ফের জানিয়ে দেয়, এনএসজি-তে অন্তর্ভুক্তির প্রধান শর্ত এনপিটি সই করা, তা না করায় ভারতকে এনএসজি-র অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।
যদিও অন্য যে সব দেশ এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করছিল, সেই দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও তুরস্ক আগের অনড় অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এসেছে। ফলে কূটনীতিকরা মনে করছেন, এর ফলে এনপিটি-তে স্বাক্ষর না করা দেশগুলির পক্ষেও এনএসজি-তে যোগ দেওয়ার রাস্তা খুলতে পারে।