নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সোমবার। রাইসিনার হিলসের পরবর্তী বাসিন্দা করে হবেন, তা স্থির হবে আগামীকাল।


এই দৌড়ে এনডিএ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী প্রার্থী হলেন মীরা কুমার। সংখ্যার বিচারে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত, এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন রামনাথ কোবিন্দই। যদিও, বিরোধীরাও শেষ রাতে বাজিমাত করার বিষয়ে আশাবাদী।


বিহারের প্রাক্তন রাজ্যপাল কোবিন্দ এবং সংসদের প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার—দুজনই নিজেদের প্রচারে কোনো কসুর করেননি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থন আদায় করার প্রচেষ্টা করেছেন।


বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র পক্ষে ভোট ৫,৩৭,৬৮৩। যা ম্যাজিক ফিগার থেকে প্রায় ১২ হাজার কম। তবে, ইতিমধ্যেই জেডিইউ, বিজেডি, টিআরএস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, এডিএমকে-র একাধিক গোষ্ঠী কোবিন্দকেই সমর্থন করার আশ্বাস দিয়েছে। এনডিএ-র আশা, কোবিন্দ সহজেই বৈতরণী পার করে ফেলবেন।


তবে, বাজিমাত করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরাও। এদিন রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ‘সংকীর্ণ, বিভাজন-সৃষ্টিকারী ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবের’ বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবে উল্লেখ করে দলীয় সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।


সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য ও বিধায়করা রাষ্ট্রপতি ভোটে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের ভোটের ওপরই ভিত্তি করেই দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইলেক্টোরাল কলেজের মোট মূল্য ১০,৯৮,৯০৩।


কলেজের মোট ভোটার সংখ্যা ৪,৮৯৬। এর মধ্যে ৪,১২০ জন বিধায়ক ও ৭৭৬ জন সাংসদ। আবার সাংসদের মধ্যে ৫৪৩ জন লোকসভার এবং ২৩৩ জন রাজ্যসভার।


তবে, অ্যাঙ্গলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায় থেকে মনোনীত লোকসভার দুই সদস্য এবং রাজ্যসভার ১২ মনোনীত সদস্য এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না।


নিয়মানুসারে, একজন সাংসদের ভোটের মূল্য ৭০৮। যাতে বদল হয় না। অন্যদিকে, একজন বিধায়কের ভোটের মূল্য নির্ধারিত হয় সেই তাঁর রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে।