ভুবনেশ্বর: ওড়িশার ভুবনেশ্বরের সাম হাসপাতালের সেই ভয়ঙ্কর রাত। বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু হয় ২২ জনের। আহত হন আরও ১০০ জন। সেই রাতের মর্মান্তিক ঘটনার বিধ্বংসী  প্রভাব পড়েছে প্রত্যক্ষদর্শী রোগী ও চিকিত্সাকর্মীদের মনেও।
সেদিন হাসপাতালের বার্ন ডিপার্টমেন্টের আইসিইউ-তে ডিউটি করছিলেন নার্স বেবি ভবানা। হঠাত্ করেই একরাশ ধোঁয়া ঘিরে ধরে। ধোঁয়ার তীব্র উত্কট গন্ধ,  প্রাণভয়ে চিত্কার-চেঁচামেচি। এতকিছুর মধ্যেই কর্তব্যবোধে অবিচল ছিলেন বেবি। একবারের জন্য রোগীদের ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে বেরিয়ে যাওয়ার কথা মনে হয়নি তাঁর।  প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ওই দুর্বিসহ পরিস্থিতি ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের সাহায্যের জন্য চিত্কার করেছেন। রোগীরা একটু তাজা বাতাসের জন্য হাঁসফাঁস করছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যেও এক পলকের জন্যও সাহস হারায়নি তাঁর। চোখের সামনেই দমবন্ধ হয়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়ে যায়। আইসিইউ-তে মাত্র পাঁচদিন আগে কাজে যোগ দেওয়া অসহায় বেবি মৃত্যুকে চোখের সামনে দেখেও রোগীদের ছেড়ে যেতে পারেননি।
সেই বেবি এখন ভুবনেশ্বরের আমরি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। সেই ভয়াবহ রাতের আতঙ্কের সঙ্গে এখনও যুঝছেন তিনি। এরইমধ্যে সংবাদমাধ্যমকে বেবি বলেছেন, আইসিইউ-তে তখন দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। সাহায্যের আর্জি জানিয়ে চিত্কার করছিলেন তিনি। সাহায্য এল অবশেষে। কিন্তু অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছে। বেবি বলেছেন, একটু আগে সাহায্য এলে হয়ত রোগীদের বাঁচানো সম্ভব হত।