জোড়-বিজোড় নীতি চালু হলে নিত্যযাত্রীদের যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য দিল্লি সরকার ডিটিসি-কে বেসরকারি কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে ৫০০ বাস ধার করে চালাতে বলেছে।
প্রধানমন্ত্রীকেও তিনি সঙ্কট মোকাবিলায় দিল্লি ও প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডাকার আবেদন করেন।
এদিকে দিল্লি হাইকোর্ট রাজধানীর অভূতপূর্ব বায়ুদূষণের প্রেক্ষাপটে বাতাসের গুণমান শুদ্ধ করতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিতে বলল। রাজধানীতে 'জরুরি পরিস্থিতি' তৈরি হয়েছে বলে অভিমত বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট ও বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চের। বাতাসে ধুলিকনার পরিমাণ হ্রাস, রাস্তায় জমা ধুলোবালি ধুয়ে সাফ করার আশু ব্যবস্থা হিসাবে মেঘ তৈরি করে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি নামানোর প্রস্তাব দিয়েছে বেঞ্চ। পাশাপাশি আদালত শহরে নতুন করে নির্মাণকাজ যতদূর সম্ভব নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও ভেবে দেখতে বলে দিল্লি সরকারকে, সাময়িক পদক্ষেপ হিসাবে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে জোড়-বিজোড় নীতি রূপায়ণের পরামর্শও দেয়।
বেঞ্চ মন্তব্য করে, আজ আমরা যা দেখছি, লন্ডনের বহুদিন আগেই সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে। ওরা এটাকে পি স্যুপ ফগ বলে। এটা ঘাতক হয়ে ওঠে। খড় পোড়ানোকেই এজন্য মূলত দায়ী করা হয়, তবে আরও নানা কারণেও হয়।
রাজধানীর কুয়াশাকে 'যানবাহন নির্গত ধোঁয়া, নির্মাণস্থল ও রাস্তার ধুলোবালি, খড় জ্বালানোর ধোঁয়ার প্রাণঘাতী মিশ্রণ' বলে উল্লেখ করেন বিচারপতিরা। দিল্লি ট্রাফিক পুলিশকেও বেঞ্চের নির্দেশ, রাস্তায় যানজট না হওয়া সুনিশ্চিত করতে হবে, রাস্তায় যান সামলানো পুলিশকর্মীদের মুখোশের ব্যবস্থা করতে হবে।
দূষণ কমানোর যৌথ স্বল্পমেয়াদি উপায় খুঁজে বের করতে আগামী তিনদিনে দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্য সচিবদের নিয়ে বৈঠক করতেও কেন্দ্রের পরিবেশমন্ত্রকের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ।
গতকালই রাজধানীর বায়ু দূষণের মাত্রা কমাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষপের সুপারিশ করা হয়। যেমন, শহরে পার্কিং ফি বৃদ্ধি, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক বাদে বাকি সব ট্রাকের শহরে ঢোকা নিষিদ্ধ করা, মেট্রো ও ডিটিসি পরিষেবা বৃদ্ধি, নির্মাণ কাজ বন্ধ করা, ইট ভাঁটা নিষিদ্ধ করা, হোটেলে কাঠ, কয়লার ব্যবহার বন্ধ করা। আজ হাইকোর্টের বেঞ্চে প্রস্তাবগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। বেঞ্চ পার্কিং ফি বাড়ানোয় রাজি হয়নি।