নুয়াপদা জেলার বাসিন্দা লছমন স্থানীয় খারিয়ার কলেজের বিজ্ঞানের ছাত্র। বাবা চাষবাস করেন, লছমন নিজেও ইলেকট্রিক বাল্ব তৈরি করে বিক্রি করে।
সে জানিয়েছে, নোট বাতিলের পর ৫০০ টাকার বাতিল নোট কাজে লাগানোর চেষ্টা চালায় সে। নোটের সিলিকন কোটিং দিয়ে সে বিদ্যুৎ তৈরির চেষ্টা চালায়। প্রথমে নোটটা ছিঁড়ে ফেলে, যাতে কোটিংটা দেখা যায়। তারপর তা নিয়ে যায় সরাসরি সূর্যের আলোর নীচে। সিলিকন প্লেট যুক্ত করে ইলেকট্রিক তারের ট্রান্সফর্মারের সঙ্গে। এর ফলে উৎপন্ন বিদ্যুৎ ট্রান্সফর্মারে জমা করা সম্ভব।
লছমনের দাবি খতিয়ে দেখার জন্য ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর অফিস ওড়িশা সরকারকে চিঠি লেখে। ১৭ মে ওড়িশা সরকার রাজ্য বিজ্ঞান দফতরকে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দেয়। লছমন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর অফিস যদি তার উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি দেয় তবে সে গর্বিত হবে।
নোট থেকে যে বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়, তা কলেজে শিক্ষক, বন্ধুবান্ধবদের দেখিয়েছে লছমন। সবার চোখের আড়ালে চিঠি লিখেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে। এখন তার উদ্ভাবন শুধু স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষা।