পুরী: করোনাভাইরাসজনিত সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে এবার পুরীর জগন্নাথের বার্ষিক রথযাত্রা নিয়েও সংশয়ের মেঘ দানা বেঁধেছে। এই পরিস্থিতি কোভিড ১৯ পরিস্থিতি ও আসন্ন রথযাত্রা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টানায়েক।
মুখ্যমন্ত্রী এরপর শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (এসজেটিএ)-র সদস্যেদের সঙ্গে কথা বলেন।
জগন্নাথ সংস্কৃতি সংক্রান্ত এক গবেষক জানিয়েছেন, ১৭৩৬ থেকে প্রতি বছর রথযাত্রার আয়োজন হয়। কোনও বছরেই এর ব্যতিক্রম হয়নি।
ভিডিও কনফারেন্সে শ্রীমন্দির ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকের পর পুরী গজপতি দিব্যসিং দেব বলেছেন, আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই পর্বে সারা দেশে কোনও মন্দিরের বাইরে কোনও ধরনের রীতি পালনে জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ভারত সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত প্রার্থনার স্থান ৩ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় সমাবেশও নিষিদ্ধ। দেব জানিয়েছেন, পুরী মন্দির কমিটিকেও ওই নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
লকডাউনের সময় শ্রীমন্দিরের বাইরে চন্দনযাত্রার সময় প্রচলিত রীতি পালন করা যাবে না।
রথযাত্রার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় অক্ষয় তৃতীয়া থেকে। কিন্তু এবার ৩ মে পর্যন্ত তা করা যাবে না। রথ তৈরি হয় মন্দিরের বাইরে। এবার তাই প্রথা অনুসারে ২৬ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়া থেকে তা শুরু নাও করা যেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দেব বলেছেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা শতাব্দী-প্রাচীন ঐতিহ্যে কোনওরকম ছেদ পড়ুক, তা চান না। তাই তাঁরা লকডাউনের সময় মন্দির বাইরের প্রথা কীভাবে পালন করা যায়, তা নিয়ে শঙ্করাচার্যের কাছ থেকে বিকল্প উপায় জানতে চাইবেন।

দেব জানিয়েছেন, আগামী ২৩ জুনের বার্ষিক উত্সব নিয়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত ৩ মে লকডাউন প্রত্যাহারের পর জারি নির্দেশিকা অনুযায়ী নেওয়া হবে।
এক ভিডিও বার্তায় গজপতি মহারাজ বলেছেন, কমিটির সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, মন্দির কর্তৃপক্ষ রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের লকডাউন নির্দেশিকা মেনেই কাজ করবে। তাই মন্দিরের বাইরে কোনও কার্যকলাপ ৩ মে-র আগে হবে না।