গুন্টুর:  ন বছরের এক নাবালিকার ধর্ষণকাণ্ডে উত্তাল অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয়রা প্রতিবাদে তিনটি রাজ্য পরিবহন দফতরের বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়, রাস্তায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয় টায়ার। জনতাকে শান্ত করতে অভিযুক্তের মাথার দাম ঘোষণা করে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ।   এরপর শুক্রবার সকালে ধাচেপল্লী গ্রামে একটি গাছের থেকে ঝুলতে দেখা যায় ৫৫ বছরের এক ব্যক্তিকে। পরে জানা যায় ওই ব্যক্তিই এই ধর্ষণ কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত। দাইদা গ্রামের কাছে একটি মন্দিরের কাছ থেকে অভিযুক্তের দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আন্নাম সুব্বাইয়া বলে চিহ্নিত করে। প্রসঙ্গত, ধর্ষণের ঘটনাটি বুধবারই প্রকাশ্যে আসে, যখন নাবালিকা তার যৌনাঙ্গে মারাত্মক যন্ত্রণার কথা তার মাকে জানায়। তারপরই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায়, মেয়েটির ওপর যৌন অত্যাচার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটি যখন তার বাড়ির বাইরে বসে খেলছিল, সেই সময় তাকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে এক জায়গায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত। তারপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর মেয়েটিকে হুমকিও দেয় অভিযুক্ত কথা ফাঁস না করার জন্যে। পরে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হতে থাকায় মেয়েটি আপ চেপে রাখতে পারেন না। ঘটনার কড়া সমালোচনা করে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু।