শ্রীনগর: বাবা ফারুক আবদুল্লার পর আজ ছাড়া পেলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর প্রথম বিবৃতিতে তিনি অন্যান্য আটক নেতাদের মুক্তি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা পুনর্বহালের জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। শ্রীনগরের গুপকর রোডের বাসভবনে দুপুর দেড়টা নাগাদ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওমর বলেছেন, ৩৭০ ধারা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ঘটনাবলী নিয়ে তিনি অন্য কোনও সময়ে বিস্তারিতভাবে বলবেন।

করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতি নিয়েও নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ওমর। তিনি বলেছেন, জীবন-মৃত্যুর সংগ্রাম চলছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারি নির্দেশ অবশ্যই মেনে চলা উচিত।

এদিন জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন ওমরের বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইন (পিএসএ) প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে তাঁর মুক্তির পথ প্রশ্বস্ত হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁকে আটক করা হয়ছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পিএসএ ধারা প্রয়োগ করে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।
ছাড়া পাওয়ার পর ২৩২ দিনের মধ্যে প্রথম ট্যুইটে ওমর লেখেন, ২০১৯-র ৫ আগস্টের আগে যা ছিল, তার থেকে পৃথিবীটা বদলে গেছে। ট্যুইটে তাঁর আটক প্রত্যাহার সংক্রান্ত নির্দেশিকাও যুক্ত করেছেন। সেইসঙ্গে রয়েছে তাঁর নিজের একটি ছবিও।
দ্বিতীয় ট্যুইটে ওমর লিখেছেন, প্রায় আটমাস পর বাবা-মায়ের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেলাাম। এর থেকে ভালো খাবার এর আগে কখনও খেয়েছি বলে মনে করতে পারছি না। কিছুটা ঘোরের মধ্যে রয়েছি। কী খেলাম, তা মনে নেই।
উল্লেখ্য, দশদিন আগেই মুক্তি পেয়েছেন ওমরের বাবা ফারুক। শ্রীনগরের সাাংসদ গত ৫ আগস্ট থেকে গুপকর রোডে নিজের বাসভবনে আটক ছিলেন। ছাড়া পাওয়ার পর ফারুক হরি নিবাাসে নিয়ে ছেলে ওমরের সঙ্গে দেখা করেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী মলি ও মেয়ে সাফিয়া আবদুল্লা খান।
জম্মু ও কাশ্মীরের অপর এক প্রাাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি-র নেত্রী মেহবুবা মুফতি সহ আরও কয়েকজন নেতা এখনও আটক রয়েছেন।