লখনউ: দেশে প্রথমবার আইএসআইএস জঙ্গির সঙ্গে এনকাউন্টার। উত্তরপ্রদেশে টানা কয়েক ঘন্টার অভিযানের পর খতম আইএসআইএস জঙ্গি।উত্তরপ্রদেশের লখনউ সংলগ্ন ঠাকুরগঞ্জের একটি বাড়িতে এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে খতম করল পুলিশ। প্রায় ১২ ঘন্টার অপারেশনের পর সইফুল্লাহ নামে ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়। এর আগে জানা গিয়েছিল, দুজন জঙ্গি ওই বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। পরে পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটিতে একজন জঙ্গিই ছিল।
রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) দলজিত্ চৌধুরী জানিয়েছেন,  বাড়িটির দরজা ভেঙে বাহিনী ভেতরে যায় এবং একজন সন্দেহভাজনের দেহই দেখতে পায়। তার কাছে ছিল অস্ত্রশস্ত্র। তিনি আরও বলেছেন, একটা সময় মনে হয়েছিল, ওই বাড়িটিতে একাধিক জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। চৌধুরী জানিয়েছেন, অপারেশন শেষ। সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)-এর আইজি অসীম অরুণ জানিয়েছেন, নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গি আইএসআইএসের সক্রিয় সদস্য।  সে নৃশংস জঙ্গি সংগঠন আইএসের খুরাসান মডিউলের সদস্য।
গতকাল মধ্যপ্রদেশের সাজাপুরে জেলার জাবদি স্টেশনের কাছে ভোপাল-উজ্জ্বয়নী ট্রেনে বিস্ফোরণের পর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু হয়। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১০ জন জখম হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ইঙ্গিত দেয় যে, ট্রেনে বিস্ফোরণে হাত রয়েছে আইএস জঙ্গিদের। এরপরই তল্লাশি চালিয়ে ছয় সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং একজনকে লখনউতে হত্যা করা হয়।
সৈফুল্লাহ নামে নিহত জঙ্গি লখনউয়ের ঠাকুরগঞ্জ এলাকার ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছ থেকে উত্তরপ্রদেশের এটিএসের কাছে খবর আসে যে, সাজাপুরের ট্রেনে বিস্ফোরণে যুক্ত কয়েকজন সন্দেহভাজন ঠাকুরগঞ্জে ভাড়া করা একটি বাড়িতে রয়েছে। এরপরই অভিযান শুরু করে এটিএস। প্রথমে পুলিশের অনুমান ছিল, একাধিক জঙ্গি বাড়িটিতে রয়েছে।
এই ঘটনায় শুধু উত্তরপ্রদেশেই নয়, সারা দেশেই আইএসের সক্রিয়তা নিয়ে বড়সড় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এটিএসের আইজি জানিয়েছেন, সইফুল্লাহকে জীবিত অবস্থায় ধরার চেষ্টা করা হয়। তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তাকে বাড়ির বাইরে বের করতে কাঁদানে গ্যাস ও চিলি বোমা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সে বাড়ি থেকে বেরোয়নি। এরপর এটিএস কম্যান্ডোরা বাড়িতে ঢুকতে গেলে সে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় এটিএস-ও।
অভিযানের পর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে শুধুমাত্র সইফুল্লাহর মৃতদেহই পাওয়া গিয়েছে।  তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, রিভলভার, ছুরি ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পেটে একটা তার জড়ানো অবস্থায় ছিল। এটি বিস্ফোরক হতে পারে বলে সন্দেহ এটিএসের।