ওআরওপি ইস্যুতে হরিয়ানার প্রাক্তন সামরিককর্মী রামকিষেণ গ্রেওয়ালের আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে গত দুদিন ধরে উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। মোদী সরকারকে নিশানা করছে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। পাল্টা ইউপিএ জমানাকে কাঠগড়ায় তুলছে শাসক শিবির।
পর্রীকর এদিন বলেন, এক পদ, এক পেনশন চালু হওয়ার পর বর্ধিত পেনশনের সুবিধা ভোগ করছেন ৯৫ শতাংশের বেশি প্রাক্তন সেনাকর্মী। ওআরওপি অনুযায়ী পেনশন পেতে সমস্যায় পড়েছেন মাত্র ৪-৫ শতাংশ। এঁরা অধিকাংশই অবসর নেওয়া বৃদ্ধ সমরকর্মী, যাঁদের মধ্যে ১৯৬২ ও ১৯৭১-এর যুদ্ধে অংশ নেওয়া লোকজনও রয়েছেন। ওঁদের রেকর্ড খোঁজখবর করেও মেলেনি। পেনশন বিভাগের কাছে ওঁদের কাগজপত্র নেই। পেনশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল চাকরির সময়সীমা, কত বছর ওঁরা কাজ করেছেন, সেই তথ্য। ওঁরা বয়স্ক পেনশনভোগী। অনেক ক্ষেত্রে ওঁদের পরিবার পেনশন পাচ্ছে।
ওই পেনশনভোগীদের যাবতীয় নথিপত্র এক মাসের মধ্যে জোগাড় করতে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে পেনশনপ্রাপকদের হলফনামা দিতে বলা হবে বলেও জানান পর্রীকর। দু মাসের মধ্যেই সমস্যা কেটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়ে তিনি দাবি করেন, পেনশন ইস্যুতে প্রাক্তন সামরিককর্মীদের মধ্যে কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভই নেই। তিনি বলেন, প্রাক্তন সেনাকর্মীদের সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। সেখানে ওঁরাই ওআরওপি রূপায়নে খুশি বলে জানিয়েছেন। একমাত্র যে প্রাক্তন জওয়ানরা রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন, কেবলমাত্র তাঁরাই রাজনীতিকদের মতো আচরণ করছেন।