লখনউ: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যে সরকারি বাংলোয় তিনি ছিলেন, সেটি সম্প্রতি খালি করে দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। সেই বাংলোটির বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও অখিলেশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি দাবি করেছেন, ‘বাংলোর কাঠের মেঝে সহ বিভিন্ন অংশ যেমন ছিল তেমনই আছে। বাড়ির একটি অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনভাবে সেটির ছবি তোলা হয়েছে, দেখে মনে হচ্ছে গোটা বাড়িটাই ভাঙাচোরা অবস্থায় আছে।’

যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে আক্রমণ করে সপা প্রধান আরও বলেছেন, ‘সরকার যদি মনে করে থাকে, আমি জলের কল নিয়ে চলে এসেছি, তাহলে গুণে বলা হোক মোট কটি কল নিয়ে এসেছি। আমি সবকটি ফিরিয়ে দেব। ভালবাসায় মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে আমি লোকজনকে হিংসা ও ঘৃণায় অন্ধ হয়ে যেতে দেখেছি।’

গত ৭ মে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা সরকারি বাংলো দখল করে থাকতে পারবেন না। এরপরেই রাজ্য সরকার ৬ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি, মুলাময় সিংহ যাদব, কল্যাণ সিংহ, মায়াবতী, রাজনাথ সিংহ ও অখিলেশকে সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশ দেয়। অখিলেশ সরকারি বাংলো খালি করে দেওয়ার পর দেখা যায়, সেটির দশা বেহাল। এরপরেই শুরু হয় সমালোচনা।



সপা মুখপাত্র সুনীল সজন সিংহ অবশ্য দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে দলের সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে অখিলেশের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সেই কারণেই তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে সরকারি বাংলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। রাজনাথ ও কল্যাণ সরকারি বাংলো খালি করার পর সেই বাড়িগুলির কী অবস্থা, সেটা সংবাদমাধ্যম কেন দেখাচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সুনীল।

অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েক বলেছেন, অখিলেশের দখলে থাকা সরকারি বাংলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি গুরুতর। এর সঙ্গে করদাতাদের অর্থ জড়িয়ে আছে। রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।