নয়াদিল্লি:  জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে বড়সড় আঘাত হানার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছে সেনাবাহিনী। হিংসাদীর্ন উপত্যকায় স্থায়ী শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন। নিরাপত্তা সংস্থা সূত্রের খবর, উপত্যকার বিভিন্ন অংশে অপারেশন অল আউট চালানো হচ্ছে। এই অভিযানের জন্য বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ২৫৮ জঙ্গিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযান শুরুর আগে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের প্রধান ঘাঁটিগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, জঙ্গিদের গোপন আস্তানাগুলি খুঁজে বের করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি গোপনে একটি জেলা ভিত্তিক সমীক্ষা চালিয়েছে। চলতি অভিযানের নিশানায় রয়েছে ১৩০ জন স্থানীয় ও ১২৮ জন বিদেশী জঙ্গি। তারা লস্কর, জৈশ, হিজবুল এবং আল-বদরের মতো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। অপারেশন অল আউটের অঙ্গ হিসেবে গত দুই দিনে ছয় জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। জানা গেছে, এই অভিযানের নিশানায় থাকা জঙ্গিদের বেশিরভাগই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। নিশানায় থাকা জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে লস্করের ১৩৬ জন, হিজবুলের ৯৫ জন এবং জৈশের ২৩ জন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী, সোপোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই জেলায় ৩৯ জন জঙ্গি নিশানায় রয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জন স্থানীয়, ১৫ জন বিদেশী। কুপওয়ারা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এখানে ৩৪ জন সক্রিয় জঙ্গি রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২ জনই বিদেশী। সোপিয়ান ও অবন্তীপোরায় যথাক্রমে ২৬ ও ২৫ জন সক্রিয় জঙ্গি রয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগামী ২৯ জুন অমরনাথ যাত্রা শুরু হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে স্থানীয়দের জড়িত থাকাটা উদ্বেগের। কারণ, ওই জঙ্গিদের হাতে যথেষ্টা অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকা ও অমরনাথের যাত্রাপথে তাদের গতিবিধিও রয়েছে। এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। সূত্র থেকে জানা গেছে যে, গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে সীমান্ত পেরিয়ে উপত্যকায় আরও এক দফা অস্ত্র ঢুকেছে। এই অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে রয়েছে চিনে তৈরি ওই অস্ত্র। সূত্রটি আরও বলেছে, চলতি সপ্তাহে সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর হামলার ঘটনায় চিনা হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছিল। অমরনাথ যাত্রা বানচাল করতে ওই গ্রেনেডের ব্যবহারও করতে পারে জঙ্গিরা। এজন্য অমরনাথের যাত্রাপথে মোতায়েন নিরাপত্তা বাহিনীতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।