নয়াদিল্লি: দলিতদের ওপর আক্রমণের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর করা মন্তব্যের পরের দিনই তাঁকে আক্রমণ করল বিরোধীরা।
দলিত-ইস্যুতে সোমবার উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা। এদিন কংগ্রেস সাংসদরা দাবি করেন, ট্যুইট নয়, প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে বক্তব্য রাখতে হবে। এই প্রসঙ্গে, তাঁরা কিছুক্ষণের জন্য সভা ত্যাগও করেন।
এদিন জিরো আওয়ার-এর পর দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে স্পিকার সুমিত্রা মহাজন দলিত-ইস্যুতে বলার অনুমতি না দেওয়ায় প্রতিবাদে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ জানাতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা।
তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করেন স্পিকার। জানান, খাড়্গেকে তিনি বলার অনুমতি অবশ্যই দেবেন। তবে আগে জিরো আওয়ার-এর সূচিকে শেষ করার পরই। কিন্তু, তাতেও কংগ্রেস সাংসদরা শান্ত হন নি।
এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার পরিস্থিতি সামলানোর জন্য খাড়্গেকে অনুরোধ করেন। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস দাবি করতে থাকে, প্রধানমন্ত্রীকে সভায় এসে এই বিষয়ে নিজের মতামত জানাতে হবে।
কংগ্রেস সাংসদরা সমবেত হয়ে চেঁচাতে থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, কুমীরের কান্না বন্ধ করতে হবে (প্রধানমন্ত্রীকে)। ট্যুইট করলেই হবে না, দলিতদের ওপর যারা হামলা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে হবে। এরপরই ওয়াকআউট করে কংগ্রেস।
এদিকে, সংসদে যখন কেন্দ্রকে আক্রমণ করছে কংগ্রেস, তখন বাইরে একই ইস্যুতে মোদীকে নিশানা করলেন বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী। মোদীকে আক্রমণ করে মায়াবতী বলেন, উনি জানেন উত্তরপ্রদেশের আসন্ন নির্বাচনে দলিতরা তাঁকে ভোট দেবেন না। তাই এইসব মন্তব্য করা হচ্ছে।
এখানেই থেমে না থেকে মোদীকে ‘কুম্ভকর্ণ’-র সঙ্গে তুলনা করে মায়াবতী বলেন, বিজেপি গত ২ বছর ধরে চুপ ছিল, আর এখন তাদের চোখ খুলল। আক্রমণ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবও। তিনি বলেন, নির্বাচনে হার অবিস্যম্ভাবী জেনে এই সব বলছেন মোদী।
প্রসঙ্গত, দলিতদের ওপর নির্যাতন নিয়ে রবিবার ফের নিজে থেকে সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, গুলি চালাতে হলে আমার ওপর গুলি চালান, কিন্তু দলিতদের আক্রমণ করবেন না।
কুমীরের কান্না বন্ধ করুন, দলিত-প্রসঙ্গে মোদীকে কটাক্ষ বিরোধীদের
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
08 Aug 2016 12:34 PM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -