নয়াদিল্লি: ৬ কংগ্রেস সাংসদের সাসপেনসন প্রত্যাহার করার জন্য লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনকে অনুরোধ করল বিরোধীরা। যদিও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি স্পিকার।


মঙ্গলবার, লোকসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে স্পিকারকে অনুরোধ করেন, তাঁর দলের ৬ সদস্যের সাসপেনসনের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ম্যাডাম আপনি সহৃদয় ব্যক্তি। তাই অনুরোধ করছি ৬ জনের সাসপেনসন প্রত্যাহার করুন। মল্লিকার্জুনকে সমর্থন করে একই অনুরোধ করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম।


উত্তরে মহাজন বলেন, (সহৃদয় বলে) আপনারা সবকিছু (আমার দিকে) ছোঁড়েন। বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, শাস্তি প্রত্যাহার করার আবেদনের মধ্য দিয়ে তারা সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের ব্যবহারকে সমর্থন করেছেন না তো? যদিও সাসপেনসন প্রত্যাহার করার বিরুদ্ধে সুর চড়ায় শাসক দল। সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার বিষয়টিকে সংসদের ‘কালো দিবস’ হিসেবে উল্লেখ করেন।


প্রসঙ্গত, দেশের নানা শহরে পরপর গণপিটুনির ঘটনার ব্যাপারে সোমবার সংসদ সরগরম করে তোলেন বিরোধী সাংসদরা। সাময়িক মুলতুবি হওয়ার পর দুপুর দুটোয় ফের বসতেই অধীর রঞ্জন চৌধুরি, গৌরব গগৈ, কে সুরেশ, রঞ্জিত রঞ্জন, সুস্মিতা দেব ও এম কে রাঘবন, এই পাঁচ কংগ্রেস সাংসদ স্লোগান দিয়ে, স্পিকারের আসন লক্ষ্য করে কাগজ ছুঁড়ে মারেন।


এই ঘটনায় সকলকে ৫ দিনের জন্য সাসপেন্ড করলেন স্পিকার সু্মিত্রা মহাজন। অশোভন আচরণের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি বাধ্য হলেন বলে জানান। বলেন, গণপিটুনির প্রতিবাদ জানানোর সময় তাঁদের আচরণ সাংসদসুলভ ছিল না, তা স্পিকারের পদের মর্যাদা নষ্ট করেছে, এর জন্য সাসপেন্ড করা হচ্ছে ওই সাংসদদের।


স্পিকার তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, ওই সদস্যরা লোকসভার সচিবালয়ের কর্মীদের টেবিল থেকে সরকারি কাগজপত্র তুলে নিয়ে ছিঁড়ে টুকরো করে তাঁর আসনের দিকে ছুঁড়ে মেরেছেন। দলিত ও মুসলিমদের ওপর হামলার অভিযোগ নিয়ে তিনি আলোচনায় সম্মত হওয়ার পরও এমন আচরণ করেছেন ওঁরা। দৃশ্যত ক্রুদ্ধ মহাজনকে বলতে শোনা যায়, গোটা দেশ দেখুক, ওঁরা কী করেছেন!