নয়াদিল্লি: বিরোধী শিবিরের ১৫ সাংসদকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে বিশেষ সিবিআই বিচারক বি এইচ লোয়া ও তাঁর দুই সহযোগীর মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত চাইলেন রাহুল গাঁধী। সোহরাবুদ্দিন শেখ এনকাউন্টার মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে খু্নের অভিযোগের নিষ্পত্তির ভার ছিল লোয়ার হাতে। তিনি মামলাটি শুনছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালে তিনি নাগপুরে সহকর্মী বিচারকের মেয়ের বিয়েতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। তবে নানা মহলের দাবি, তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি।
রাহুল পরে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে যথাযথ তদন্ত চাই। যেসব তথ্য এসেছে, তাতে গভীর সংশয়ের অবকাশ রয়েছে বলে মনে করছি। সন্দেহের নিরসন হওয়া উচিত। আদালতের নজরদারিতে বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গড়ে তদন্ত হোক। বিরোধী সাংসদদের বক্তব্য, তাঁদের সিবিআই বা এনআইএ তদন্তে আস্থা নেই। সাংসদরা বিচারক লোয়া ও আরও দুজনের মৃত্যু নিয়ে সংশয়ী। তাঁরা চান, সিবিআই তদন্ত নয়, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।
কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া প্রতিনিধিদলে কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে সহ একাধিক দলের সাংসদরা ছিলেন। তাঁরা ১১৪ জন সাংসদের সই করা স্মারকলিপি দেন। সই দিয়েছেন টিএমসি, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, ডিএমকে, আরজেডি, আপ, বাম এমপিরা। বিএসপি সই করেনি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আইনের গরিমা বজায় রাখতে আপনার হস্তক্ষেপের আবেদন করছি। সুপ্রিম কোর্টের বাছাই করা নিরপেক্ষ অফিসারদের নিয়ে টিম গড়ে বিস্তারিত তদন্ত চাই। তদন্তে নজর রাখুক শীর্ষ আদালত।

রাষ্ট্রপতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন বলে দাবি করেন কংগ্রেস সভাপতি।

সোহরাবুদ্দিন শেখ মামলা থেকে অমিত শাহের ছাড়া পাওয়ার সঙ্গে বিচারক লোয়ার মৃত্যুর যোগ থাকার ইঙ্গিত প্রথম সামনে আসে তাঁর বোনকে উদ্ধৃত করে মিডিয়ার রিপোর্টে।

প্রসঙ্গত, লোয়ার মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে দুটি পিটিশনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল বলেন, জনস্বার্থের মাধ্যমে এর মীমাংসা হতে পারে না। বিচারক লোয়া ছাড়াও তাঁর দুই সহযোগীরও রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।