চেন্নাই: মামাল্লাপুরমের গোল্ডেন বে রিসর্টে থাকা বিধায়কদের সাংবাদিকদের সামনে এনে শশীকলা নটরাজন প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, সিংহভাগ এআইএডিএমকে বিধায়কই তাঁর সঙ্গে আছেন। কিন্তু তারপরেই ও পনীরসেলভম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন, সাহস থাকলে আটকে রাখা বিধায়কদের নিজের নিজের কেন্দ্রে ফিরে যেতে দিন, তারপর দেখুন, আসলে তাঁরা কাকে সমর্থন করছেন।


শশীকলা দাবি করেছিলেন, রিসর্টে থাকা বিধায়করা মুক্ত, কেউ তাঁদের আটকে রাখেনি। কিন্তু পনীরসেলভমের দাবি, কয়েকজন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, জানিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে সঙ্গে ঘুরছে ৪জন করে গুন্ডা। পালানো তো সম্ভব নয়ই, তাঁদের ওপর নাকি অত্যাচারও চলছে।

শশীকলা কাল গোল্ডেন বে রিসর্টে বলেন, যে পনীরসেলভম এতদিন মন্ত্রী ছিলেন, তিনিই এখন সব কিছু ধ্বংস করতে উদ্যত। বলতে বলতে কেঁদেও ফেলেন তিনি। সে কথা তুলে পনীর বলেছেন, ওই চোখের জল কুমীরের কান্না ছাড়া কিছু নয়। তাঁর বক্তব্য, সাহস থাকলে শশীকলা আটকে রাখা ১২৯জন বিধায়ককে ছেড়ে দিন, তারপর দেখুন, তাঁরা কোন দিকে যান।

পনীর বলেন, গত সপ্তাহে তিনি যখন মেরিনা সৈকতে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার স্মৃতিসৌধে ধ্যান করতে যান, তখন কোনও সহকর্মীকে ডাকেননি। নিজেকে জয়ললিতার বরাবরের কট্টর সমর্থক বলে দাবি করে তাঁর মন্তব্য, গত ২০ বছরে জয়া একবারও তাঁর সমালোচনা করেননি। কার্যনির্বাহী মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, জয়ললিতার রক্তের সম্পর্ক বলতে শুধু তাঁর দুই ভাইপো, ভাইঝি দীপক আর দীপা। অথচ তাঁর মৃত্যুর পর দীপাকেও হাসপাতালে তাঁর দেহ দেখার অধিকার দেওয়া হয়নি।

যেভাবে শশীকলা জয়ললিতার বাসভবন পোয়েস গার্ডেন দখল করে রয়েছেন, সে সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, জয়া চেয়েছিলেন, তাঁর যাবতীয় সম্পত্তির মালিকানা পাবে এডিএমকে দল।