নয়াদিল্লি: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের টেরর লঞ্চপ্যাডগুলোয় জড়ো হয়েছে ১০০-র বেশি জঙ্গি। নিরাপত্তাবাহিনী একটু ঢিলে দিলেই নিয়ন্ত্রণরেখা পার হবে তারা। এই মুহূর্তে পাকিস্তান চেষ্টা করছে, ভারতীয় সেনা কত সংখ্যায় কোথায় কোথায় মোতায়েন রয়েছে বুঝতে, যাতে সুযোগমত জঙ্গিদের এ দেশে ঢোকানো যায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এমনটাই খবর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিএসএফ-ও জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় চালকছাড়া একটি যন্ত্র আকাশে উড়তে দেখছে তারা। সীমান্তের ১০০ মিটারের মধ্যে সেটি উড়ে আসছে। বিএসএফের ধারণা, পাক সেনা সেটি পাঠিয়েছে, ক্যামেরায় ছবি তুলে ভারতের সেনা প্রস্তুতি নিজের চোখে দেখতে।


আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, পশ্চিম সীমান্তের পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। পাকিস্তানের দিক থেকে উড়ে আসা শেলের নিয়মিত মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিএসএফ ও সেনাবাহিনীকে। সীমান্তে জারি হয়েছে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা। অন্য কোনও দিক থেকে যাতে জঙ্গিরা এ দেশে ঢুকতে না পারে, তাই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলছে। তবে জম্মু, পঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাত সীমান্তে উত্তেজনা থাকলেও এইসব এলাকায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের খবর নেই।

তবে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলির বাসিন্দাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য তাঁরা কোনও নির্দেশ দেননি বলে বিএসএফ কর্তারা জানিয়েছেন। সম্ভবত প্রশাসনিক মহল থেকে এমন নির্দেশ রুজু হয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানাচ্ছে, তাঁরা ভারতীয় চাষীদের নিজেদের ক্ষেতে গিয়ে কাজকর্মেরও অনুমতি দিয়েছেন। তবে অনেকে নিজে থেকে সাবধান হয়ে পালিয়েছেন বাড়িঘর ছেড়ে। যাঁরা চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা অনেকেই ফিরে আসছেন বলেও জানিয়েছে বিএসএফ।