নয়াদিল্লি: বিগত এক দশকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছে ২১ হাজারের ওপরে বিদেশি। এদের মধ্যে সিংহভাগই বাংলাদেশি। বুধবার লোকসভায় এই তথ্য দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ টু সরকার এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন দুই এনডিএ সরকার মিলিয়ে সর্বমোট ২১ হাজার ৪০৮ জন বিদেশি এখনও পর্যন্ত ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছে। উল্লেখ্যনীয়, মোদি জমানায়ই সবথেকে বেশি বিদেশি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছে এবং সরকার তাদের পাসপোর্টও দিয়েছে।


এদিন নিত্যনন্দ রাই যে তথ্য লোকসভায় তুলে ধরেছেন, সেই তথ্য অনুযায়ী বিগত দশ বছরে ২১ হাজার ৪০৮ জন বিদেশিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। সাল অনুযায়ী ভাগ করলে বিদেশিদের নাগরিকত্ব প্রদানের ছবিটা ঠিক যেমন –


২০১০ সাল – ২৩২ জন


২০১১ সাল - ৪৩৫ জন


২০১২ সাল – ৫৩৩ জন


২০১৩ সাল - ৫৬৩ জন


২০১৪ সাল – ৬১৭ জন


২০১৫ সাল – ১৫ হাজার ৪৭০ জন


২০১৬ সাল – ১ হাজার ১০৬ জন


২০১৭ সাল – ৮১৭ জন


২০১৮ সাল – ৬২৮ জন


২০১৯ সাল – ৯৮৭ জন


মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য থেকেই পরিষ্কার, নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পরই সবথেকে বেশি বিদেশি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছে। ২০১৫ ও ২০১৬, এই ২ বছরে সর্বাধিক বিদেশি ভারতীয় নাগরিক হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী ২০১৫ সালে ছিটমহল সমস্যা সমাধানের কথাও এদিন লোকসভায় বলতে শোনা যায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইকে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সময়ই ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী ১৪ হাজার ৮৬৪ জনকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।


মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গে নিত্যানন্দ রাই জানান, “প্রতিটি বৈধ শরণার্থীকেই ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এখানে কোনও শরণার্থীর ধর্ম দেখা হবে না।” সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ক্ষেত্রেও যে এই নিয়মের কোনও বদল হবে না, তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।


এদিন অবৈধ বাংলাদেশি যারা কোনও রকম কোনও কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও এদেশে থাকছিলেন, তাদের বিতাড়ণ করা নিয়েও কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন নিত্যানন্দ রাই। তিনি বলেন, “অবৈধ বাংলাদেশিদের এদেশ থেকে তাড়ানোর সমস্ত বন্দোবস্ত কেন্দ্র করেছে। ২০১৬ সালে ৩০৮ জন, ২০১৭ সালে ৫১ জন এবং ২০১৮ সালে ৪৪৫ জনকে এদেশ থেক তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”