নয়াদিল্লি: নোট নিয়ে ফের নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের। আজ মাঝ রাতেই শেষ পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বদলের সময়সীমা। আগামীকাল থেকে আর ব্যাঙ্কের কাউন্টারে হাতে হাতে বদল করা যাবে না পুরনো নোট। তবে আগের মতো ওই নোট জমা দেওয়া যাবে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাঁদের অ্যাকাউন্ট নেই, তাঁদেরকে অ্যাকাউন্ট খুলে পুরনো টাকা জমা দিতে হবে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০ টাকার পুরনো নোট চলবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। পেট্রোল পাম্প, সরকারি হাসপাতাল, যে কোনও ওষুধের দোকান ও টোল প্লাজায় ব্যবহার করা যাবে শুধু মাত্র পুরনো ৫০০ টাকার নোট। ওষুধ দোকানের ক্ষেত্রে ক্রেতাকে দেখাতে হবে চিকিত্সকের প্রেসক্রিপশন। এছাড়াও সমস্ত সরকারি স্কুলে ছাত্র পিছু ২০০০ টাকা ফি দেওয়া যাবে পুরনো ৫০০ টাকার নোটে। দেওয়া যাবে সমস্ত সরকারি কলেজের ফি-ও। গ্রাহক পিছু ৫০০ টাকা পর্যন্ত প্রিপেড মোবাইল টপ-আপের ক্ষেত্রে এবং সমবায় সমিতিতে একবারে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত কেনাকাটায় দেওয়া যাবে ৫০০ টাকার পুরনো নোট। ওই নোট দিয়ে মেটানো যাবে গৃহস্থের জল ও বিদ্যুতের বর্তমান ও বকেয়া বিল। আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত টোল ট্যাক্স দিতে হবে না জাতীয় সড়কের কোনও টোল প্লাজায়। তবে তার পরের দিন, অর্থাত্‍ ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত টোল প্লাজায় দেওয়া যাবে পুরনো ৫০০। বিদেশি নাগাররিকরা পুরনো ৫০০ টাকার নোট দিয়ে বদল করতে পারবেন সপ্তাহে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।


নির্দেশিকায় বাতিল নোট কাউন্টারে বদলের সুযোগ বন্ধ করার দেওয়ার যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, ব্যাঙ্কে গিয়ে নোট বদলের প্রবণতা এখন অনেকটাই কম। এই সিদ্ধান্তের ফলে যাঁদের অ্যাকাউন্ট নেই, তাঁরা তাঁদের পুরানো ৫০০ ও ১০০০ টাকা জমা দিতে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে উত্সাহিত হবেন।

এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট, ‘কৃষি, সমবায়, অসংগঠিত ক্ষেত্রের জন্য কিছুই নেই।সবই কেন্দ্রের, রাজ্যের জন্য কিছুই নেই।একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত। এটা কোনও সমাধান নয়।আপনার সিদ্ধান্তের জন্য চরম দুর্ভোগ।’