শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হিজবুলের ওভারগ্রাউন্ড অর্থাত্ প্রকাশ্যে সক্রিয় কর্মী। জনৈক পুলিশ অফিসার জানান, ধৃতদের কাছে আইইডি বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে যা তারা নিরাপত্তাবাহিনীকে আক্রমণে ব্যবহারের ছক কষেছিল। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হিজবুল জঙ্গিদের শনাক্ত করা হয়েছে। এরা হল আকিব নাজির রাঠের, আমির মজিদ ওয়ানি, সামির আহমেদ ভাট, ফয়সল ফারুক আভানগার ও রঈস আহমেদ গনাই। ওদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়েছে, তারা পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীকে টার্গেট করে আইইডি বিস্ফোরণের প্ল্যান করেছিল।
কংগ্রেস গত ২৪ ঘণ্টায় জম্মু ও কাশ্মীরে মেজর কেতন শর্মা, রাইফেলম্যান অনিল কুমার জাসওয়াল, হাবিলদার অমরজিত্ কুমার ও নায়েক অজিত কুমার-এই ৪ জওয়ানের সন্ত্রাসে প্রাণ হারানোর প্রসঙ্গ তুলে বলল, এর পিছনে ‘গোয়েন্দাবাহিনীর ব্যর্থতা’র জন্য জবাবদিহি করতে হবে মোদি সরকারকে। গত এক সপ্তাহে সব মিলিয়ে মোট ১০ সেনা জওয়ান সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন বলে হিন্দিতে ট্যুইট করে জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। লিখেছেন, মাতৃভূমির জন্য ওঁদের বলিদানকে কুর্নিশ জানাই।
আরেকটি ট্যুইটে তিনি পুলওয়ামায় সেনার গাড়িতে হামলায় দুই জওয়ানের মৃত্যু, অনেকের জখম হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে লেখেন, এটা পুরোপুরি সরকারের বিরাট গোয়েন্দা ব্যর্থতার ফলেই হল। গত সপ্তাহে অনন্তনাগে সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর হামলায় ৫ জওয়ানের হত্যার উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ওই ঘটনা থেকে কোনও শিক্ষা নেওয়া হয়েছিল কি। আরও লেখেন, আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীর সাহসের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে আমাদের। আজই তো ২ সন্ত্রাসবাদীকে ওরা খতম করেছে। কিন্তু কেন্দ্রকে গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্য জবাব দিতে হবে। কেন লাগাতার হামলা হয়েই চলেছে, উত্তর দিতে হবে।







এদিকে রাজ্যের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের দাবি, লড়াইয়ে হেরে গিয়েছে বলেই সন্ত্রাসবাদীরা সীমান্তের ওপার থেকে পাওয়া তাদের হ্যান্ডলারদের নির্দেশে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর মরিয়া হামলা চালাচ্ছে। তিনি বলেছেন, এখানে এইসব হামলা নতুন ব্যাপার নয়। কিন্তু গত ৬ মাসে আমরা তা কমিয়েছি। আমার ১০০ শতাংশ বিশ্বাস, সন্ত্রাসবাদীদের সীমান্তের ওপার থেকে কিছু না কিছু করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের হ্যান্ডলারদের মনে হচ্ছে, ওরা হেরে গিয়েছে কারণ গত ১০ বছর ধরে ওরা যে সন্ত্রাসবাদের পরিকাঠামো তৈরি করেছিল, তা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সেজন্য তারা আকস্মিক হামলা চালাচ্ছে। নতুন সন্ত্রাসবাদী নিয়োগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে, শুক্রবারের প্রার্থনার পর পাথর ছোড়াছুড়িও বন্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, মানুষ বুঝতে পারছে, এসব করে কোনও লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব নয়। সন্ত্রাসবাদীরা অস্ত্র ছেড়ে মূলস্রোতে ফিরছে।