নয়াদিল্লি: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন বছরের শুরুতেই সুখবর। কোভিশিল্ডে ছাড়পত্র দিল ডিসিজিআই। এমনটাই জানা গিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে।


সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, ব্রিটিশ ভ্যাকসিনে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিসিজিআই। জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগে অনুমোদন ড্রাগ কন্ট্রোলারের।


কবে থেকে, কীভাবে প্রয়োগ, আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ৯ মাস লড়াইয়ের পর করোনার ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র মিলল।


এদিকে, এদিনই আরও একটি সুখবর মিলেছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিনের ৪ থেকে ৫ কোটি ডোজ তৈরি হয়ে গিয়েছে।


চলতি বছরে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাটি। কোভিশিল্ড প্রয়োগে ৯২-৯৫ শতাংশ সাফল্যের দাবি সিরামের।


এদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার ভ্যাকসিন তৈরি করছেন পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এই কোভিড-১৯ টিকার নাম কোভিশিল্ড। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)-র বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই টিকাকে অনুমোদন দানের ব্যাপারে সুপারিশ করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছিল।


ভারতে অবিলম্বে কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে সিরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনিকার সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছিল।


সিডিএসসিও –এর বিশেষজ্ঞ প্যানেল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জরুরিকালীন অনুমোদনের জন্য আজ বৈঠক করে। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) –র মহানির্দেশক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ভারতে নতুন বছরেই চলে আসতে পারে করোনা টিকা।


আগামীকাল থেকেই দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাইরান শুরু হচ্ছে। ড্রাইরান হবে রাজ্যের ৩ স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, এর জন্য ৩টি কেন্দ্রকে বাছা হয়েছে।


এর মধ্যে দুটি উত্তর ২৪ পরগনা এবং একটি কেন্দ্র কলকাতায়। উত্তর ২৪ পরগনায় মধ্যমগ্রাম ও আমডাঙায় খোলা হয়েছে কেন্দ্র। আর কলকাতায় সল্টলেকের কেন্দ্রে হবে ড্রাই রান। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হবে ড্রাইরান। প্রতি কেন্দ্রে ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক আসবেন ড্রাইরানের জন্য।


এদিকে, নববর্ষের দিন আরেকটি সুখবর দিয়েছেন সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা। তিনি বলেছেন, আমাদের ইতিমধ্যেই ৪-৫ কোটি কোভিশিল্ডের ডোজ তৈরি হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে ছাড়পত্র পাওয়ার পর কত ডোজের প্রয়োজন ও কত তাড়াতাড়ি প্রয়োজন তা সরকারের ওপর নির্ভর করছে। আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে আমরা প্রায় ৩০ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলব।