নয়াদিল্লি: সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস (পিএসি) কমিটিতে নোট বাতিল নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে তলব করা হবে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। গত সপ্তাহে কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেস নেতা কে ভি টমাস প্রধানমন্ত্রীকে তলব করা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে ডাকা যায় বলে সওয়াল করেছিলেন তিনি।


কিন্তু তাঁর মন্তব্য জানা মাত্রই আপত্তি তোলেন কমিটির বিজেপি সদস্যরা। নিশিকান্ত দুবে, ভূপেন্দর যাদব, কিরিট সোমাইয়া সহ বিজেপির লোকজন চেয়ারম্যানের বক্তব্য খারিজ করে জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রীকে ডেকে পাঠানোর ক্ষমতা পিএসি-র নেই। দুবে লোকসভার স্পিকারকেও চিঠি দেন।  বলেন, নোট বাতিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকা হতে পারে টমাস যা বলেছেন, তা অনৈতিক, অন্যায়, প্রতিষ্ঠিত সংসদীয় রীতি-নীতির পরিপন্থী। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের সমন পাঠানো ও অর্থ বিষয়ক কমিটিগুলির পরিচালন সংক্রান্ত নিয়ম-বিধি নিয়ে স্পিকারের নির্দেশের প্রসঙ্গ তুলে পিএসি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, হিসাব পরীক্ষার ব্যাপারে আলোচনার জন্য বা ব্যাখ্যা দিতে কমিটির সামনে মন্ত্রীদের তলব করা হবে না। যদিও দরকার হলে কমিটির যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর চেয়ারম্যান ঘরোয়া ভাবে কথা বলতে পারেন মন্ত্রীর সঙ্গে।
জানা গিয়েছে, পিএসি বৈঠকে টমাস নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, তিনি এটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, কমিটির সদস্যরা একমত হলেই প্রধানমন্ত্রীকে ডাকা যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানকে মেরে ফেলবেন না, এমন সাবধানবাণীও নাকি দেন তিনি।
পিএসি-র বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি নিয়ম অনুসারে কোনও মন্ত্রকের হিসাব পরীক্ষা করে দেখার ব্যাপারে প্রয়োজনে তার অফিসার-আমলাদের ডাকা যাবে, কিন্তু কখনই প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের নয়।
প্রসঙ্গত ইউপিএ জমানায়ও টুজি মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে তত্কালীন পিএসি চেয়ারম্যান মুরলিমনোহর যোশী ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। পিএসি-র কংগ্রেস সদস্যরা তীব্র আপত্তি করেছিলেন। কমিটিতে কংগ্রেস জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় যোশীকে পিছু হটতে হয়েছিল।