আমদাবাদ: হিংসা ও বিতর্ক না মেটা পর্যন্ত গুজরাতের কোনও সিঙ্গল স্ক্রিন বা মাল্টিপ্লেক্সে দেখানো হবে না সঞ্জয় লীলা বনশালীর ছবি ‘পদ্মাবৎ’। আজ এমনই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল গুজরাতের মাল্টিপ্লেক্সগুলির মালিকদের সংগঠন। এই সংগঠনের সভাপতি মনুভাই পটেল বলেছেন, ‘গতকালের হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাতের সব মাল্টিপ্লেক্স সর্বসম্মতভাবে বিতর্ক না মেটা পর্যন্ত পদ্মাবৎ না দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ছবি দেখতে আসা দর্শকদের নিরাপত্তা এবং সম্পত্তি রক্ষা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিঙ্গল স্ক্রিনগুলির মালিকরাও জানিয়েছেন, তাঁরা ছবিটি দেখাবেন না। পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিলেও, কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। বিক্ষোভকারীরা যদি টিকিট কেটে হলে ঢুকে পড়ে তাহলে কী হবে? পদ্মাবৎ না দেখালে মাল্টিপ্লেক্সগুলির প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হবে। তা সত্ত্বেও আমরা ছবিটি দেখাব না।’


এরই মধ্যে এই ইস্যুতে গুজরাত সরকারকে আক্রমণ করেছেন পাতিদার নেতা হার্দিক পটেল। তিনি বলেছেন, ‘সরকার হিংসা থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। বিজেপি এর আগে সংরক্ষণের দাবিতে পাতিদারদের বিক্ষোভ সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেলকে সরিয়ে দিয়েছিল। এবার কি গুজরাতের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি পদত্যাগ করার কথা ভাববেন?’

গতকাল ‘পদ্মাবৎ’-এর বিরোধিতায় আমদাবাদে তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। তারা একটি শপিং মলের বাইরে রাখা ৩০টি মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়, বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অন্তত ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যে দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয় এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয় বলে জানিয়েছেন আমদাবাদ পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জে কে ভট্ট।