এবার সঞ্জয় ছবিটির প্রযোজকদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অসন্তোষ জানালেন সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) চেয়ারম্যান প্রসূন জোশী। বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার আগেই মিডিয়ার লোকজনকে দেখানোর জন্য পদ্মাবতীর বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করায় প্রযোজকদের ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন তিনি। বলেছেন, এভাবে বোর্ডকে প্রভাবিত করার, তার ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ, হতাশাজনকও।
একটি নিউজ চ্যানেল তাঁকে উদ্ধৃত করে বলেছে, সিবিএফসি ছবিটি দেখার, ছাড়পত্র দেওয়ার আগেই পদ্মাবতী মিডিয়াকে দেখিয়ে জাতীয় চ্যানেলগুলিকে দিয়ে রিভিউ করা হচ্ছে। এটা হতাশাজনক। এতে একটা সচল ইন্ডাস্ট্রি যে নিয়ম, ভারসাম্য মেনে চলে, তার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য পূরণের জন্য ছাড়পত্র দেওয়ার পদ্ধতিকে যেন তেন প্রকারেণ ব্যবহার করাটা ক্ষীণদৃষ্টি, সুবিধাবাদী মনোভাবের পরিচয় দেয়।
তিনি এও বলেছেন, একদিকে ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার জন্য সিবিএফসি-কে চাপ দেওয়া, তার ঘাড়ে দায় ঠেলে দেওয়া, অপরদিকে সেই প্রক্রিয়াকেই বানচাল করার চেষ্টা সুবিধাবাদের নজির তৈরি করছে। এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে ছবিটি রিভিউয়ের আবেদন এসেছে এই সপ্তাহেই। ছবির নির্মাতারা জানেন, মেনেও নিচ্ছেন যে, পেপারওয়ার্ক অসম্পূর্ণ রয়েছে। ছবিটি ফিকশনমূলক না ইতিহাসকেন্দ্রিক, সেই ডিসক্লেমার দেওয়া হয়নি, জায়গাটা ফাঁকা রেখে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং সঙ্গত কারণেই তাদের কাছে প্রয়োজনীয়, আবশ্যিক নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। অথচ বলা হচ্ছে, সিবিএফসি দেরি করছে। এটা সত্যিই বিস্ময়কর।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই সিবিএফসি পদ্মাবতী-কে নির্মাতাদের কাছে ফেরত্ পাঠিয়ে দিয়েছে। সংস্থার সিইও অনুরাগ শ্রীবাস্তবের বক্তব্য, টেকনিক্যাল কারণেই ফেরত্ পাঠানো হয়েছে সেটি। আরেকটি সূত্রের দাবি, পদ্মাবতীর ছাড়পত্র চেয়ে পেশ করা আবেদনটি অসম্পূর্ণ থাকার জন্যই এই পদক্ষেপ। সিবিএফসি জানিয়েছে, আপত্তির জায়গাগুলি সংশোধনের পর ফের আবেদনটি তাদের কাছে এলে রাজপুত সম্প্রদায়ের রোষে পড়া ছবিটিকে চলতি নিয়ম মেনেই খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।