নয়াদিল্লি: পদ্মাবতী ইস্যু এবার গড়াল সংসদেও।


সঞ্জয় লীলা বনশালী পরিচালিত ছবিটি ঘিরে বিতর্ক এবং তার মুক্তি বিলম্ব হওয়ার প্রেক্ষিতে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন বা সেন্সর বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের রিপোর্ট তলব করল লোকসভা কমিটি। পাশাপাশি, বোর্ড ও মন্ত্রক-কর্তাদের কমিটির সামনে হাজির হতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


চতু্র্দশ শতাব্দীতে দিল্লির সুলনতান আলাউদ্দিন খিলজির রাজস্থানের মেবার আক্রমণের প্রেক্ষাপট ঘিরে তৈরি হয়েছে বনশালির পদ্মাবতী। ছবিতে রানীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। অন্যদিকে, মেবারের রাজা তথা পদ্মাবতীর স্বামী মহারাওয়াল রতন সিংহ এবং আলাউদ্দিন খিলজির ভূমিকায় দেখা গিয়েছে যথাক্রমে শহিদ কপূর ও রণবীর সিংহকে।


দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন রাজপুত ও হিন্দু সংগঠন ছবির বিরোধিতা করে চলেছে। তাদের দাবি, ছবিতে ইতিহাসকে ‘বিকৃত’ করা হয়েছে এবং ‘রাজপুত ভাবাবেগে আঘাত’ করা হয়েছে। বিরোধিতা কেবলমাত্র প্রতিবাদেই থেকে থাকেনি। বিক্ষোভ-আন্দোলন চলেছে। ছবির সেটে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। অভিনেতা, অভিনেত্রী থেকে পরিচালকদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।


আগামী ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটির। কিন্তু, পরিস্থিতি জটিল হতে পারে আশঙ্কা করে ছবি মুক্তি পিছিয়ে দেয় প্রযোজনা সংস্থা। এর আগে, নিজেদের রাজ্যে ছবি মুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও তেলঙ্গনা প্রশাসন। যদিও, পরে তারা জানায়, সেন্সর বোর্ড পদ্মাবতীকে অনুমোদন দেয় কি না, তার জন্য অপেক্ষা করবে।