পাক সেনার ধারাবাহিক গুলি বর্ষণের কারণে নৌসেরা ও মাঞ্জাকোট সেক্টরের সমস্ত স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী কালাসিয়ান, সাইর, বাহওয়ানি, নাম্ব ও ঝাঙ্গরের মতো গ্রামগুলিতে পাক সেনার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ফলে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে।
রাজৌরির ডেপুটি কমিশনার শাহিদ ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনটি স্কুলের সবমিলিয়ে ২১৭ জন পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন স্কুলগুলি থেকে ১৫ জন শিক্ষককেও উদ্ধার করেছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বুলেট প্রুফ গাড়ি ও তিনটি বাস পড়ুয়া ও শিক্ষকদের উদ্ধারের জন্য ব্যবহার করা হয়।
বাহওয়ানির হাইস্কুল থেকেই ১৫০ জন পড়ুয়াকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়। কালাদির মিডল স্কুল থেকে উদ্ধার করা হয় ১২ জন আটক পড়ুয়াকে।
বাহওয়ানি থেকে পড়ুয়াদের উদ্ধারের সময় অল্পের জন্য রক্ষা পায় উদ্ধারকারী দল। ওই সময় স্কুলের কয়েক মিটার দূরেই এসে পড়ে একটি শেল।
সাইরের স্কুল ভবনটিই পাক হামলার শিকার হয়। সেখানে আছড়ে পড়ে পাক বাহিনীর শেল। স্কুল ভবনের একটা বড় অংশ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানকার ৫৫ জন পড়ুয়া ও শিক্ষকরা অল্পের জন্য রক্ষা পায়। পাক বাহিনীর প্রবল গুলি বর্ষণের মধ্যেই আটক পড়ুয়া ও শিক্ষকদের উদ্ধার করা হয় বলে সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
দেড়শো-র বেশি পড়ুয়া বিভিন্ন শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যান্যদের তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।