নয়াদিল্লি: ভারতে চরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত পাক হাই কমিশন কর্মী মেহমুদ আখতারকে বহিষ্কারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা ভারতীয় দূতাবাস আধিকারিক সুরজিৎ সিংহকে বহিষ্কার করল পাকিস্তান। যদিও কী অভিযোগে সুরজিৎকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে ব্যাপারে মুখ খোলেনি তারা। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, কেন ওই কূটনীতিককে পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার কোনও কারণ দর্শায়নি ইসলামাবাদ। শুধু অভিযোগ করেছে, তাঁর কাজকর্ম কূটনৈতিক নিয়মকানুন মেনে হচ্ছিল না, বাস্তবে যে কথা অর্থহীন।


যেহেতু ভারত পাক চর মেহমুদ আখতারকে বহিষ্কার করেছে, তাই পাকিস্তানও পাল্টা জবাব হিসেবে এই পদক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিদেশ মন্ত্রক। তাদের আরও অভিযোগ, সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদ তো বটেই, আরও নানাভাবে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ পুরোদস্তুর চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান, অথচ তা তারা স্বীকার করতে নারাজ।

বৃহস্পতিবার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গতিবিধির ওপর চরবৃত্তির অভিযোগে দিল্লি চিড়িয়াখানা থেকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় মেহমুদ আখতারকে। কূটনৈতিক রক্ষাকবচের দোহাই দিয়ে তিনি মুক্তি পেয়ে গেলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে সপরিবারে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয় দিল্লি। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসলামাবাদও ভারতীয় দূতাবাস কর্মী সুরজিৎ সিংহকে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি ঘোষণা করে পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

চরবৃত্তির অভিযোগে বহিষ্কৃত পাক হাইকমিশন কর্মী মেহমুদ আখতার পুলিশকে জানিয়েছে, ৯৭-এ পাক সেনার বালুচ রেজিমেন্টে যোগ দেয় সে। সেখান থেকে ২০১৩-য় ডেপুটেশনে আসে আইএসআই-তে। সে বছরই সেপ্টেম্বরে পাক হাইকমিশন কর্মী হিসেবে তাকে ভারতে পাঠায় পাক গোয়েন্দা সংস্থা।