নয়াদিল্লি: কুলভূষণ যাদবের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার চার্জশিট ও সাজার রায়ের প্রত্যয়িত কপি চেয়ে পাঠিয়ে পাকিস্তানের কাছে যে আবেদন করেছিল ভারত, এখনও তার কোনও জবাব দেয়নি ইসলামাবাদ। এমনটাই জানাল কেন্দ্র।


এদিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে বলেন, আমরা পাক বিদেশমন্ত্রকের থেকে কুলভূষণের চার্জশিট ও সাজার রায়ের প্রত্যয়িত কপি চেয়ে পাঠিয়েছি। কিন্তু, ওপ্রান্ত থেকে কোনও জবাব আসেনি।


ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার গৌতম বাম্বাওয়ালে পাক বিদেশসচিব তেহমিনা জাঞ্জুয়ার সঙ্গে দত শুক্রবার দেখা করেন। চার্জশিট ও রায়ের কপির পাশাপাশি যাদবকে যাতে কনস্যুসলার সহায়তাও দেওয়া হয়, সেই বিষয়টিও উত্থাপন করেন তিনি।


যদিও জাঞ্জুয়া নাকি সেই অনুরোধ রাখেননি। তিনি পাল্টা বলেছেন, বিষয়টি যেহেতু চরবৃত্তি সংক্রান্ত, তাই সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া যাবে না ভারতীয় কনস্যুলেটের কর্তাব্যক্তিদের।


তবে বাম্বাওয়ালে পাল্টা জানিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক আইনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দিতে বাধ্য পাকিস্তান। ভারত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা কুলভূষণের শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করবে।


আর তার জন্যই এই নথিগুলি চেয়ে পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। এদিকে, পাকিস্তানের বার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়ে দিয়েছে, কোনও পাক আইনজীবী যদি কুলভূষণের স্বপক্ষে সওয়াল করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।


প্রসঙ্গত, ভারতীয় নাগরিক তথা প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী ৪৬ বছরের কুলভূষণকে র-এর চর তকমা দিয়ে পাকিস্তানে নাশকতা, অন্তর্ঘাতের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সে দেশের সামরিক আদালত। গত বছরের মার্চে গ্রেফতার করা হয় কুলভূষণকে।


পাক সেনার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁকে পাকিস্তানে রাষ্ট্রবিরোধী যুদ্ধ চালাতে, অস্থিরতা ছড়ানোর লক্ষ্যে চরবৃত্তি, নাশকতার চক্রান্ত তৈরি, তা কার্যকর করার দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছিল র।


যদিও ভারত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ মৃত্যুদণ্ডের সাজার নিন্দা করে হুঁশিয়ারি দেন, পাকিস্তান যেন মনে রাখে, শাস্তি কার্যকর হলে তার রেশ পড়তে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও।


কিন্তু কুলভূষণকে সাজানো অভিযোগে ফাঁসিয়ে চরম সাজা দেওয়া হয়েছে, বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছে বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির।