হুমকির পরই ‘মার্ডার থ্রি’-তে কাজ করা পাক অভিনেত্রী সারা লোরেন প্রাণভয়ে ভুগছেন বলে খবর একটি ট্যাবলয়েডের। দুবাইয়ে বাড়ি আছে তাঁর। পরিস্থিতি সত্যিই খারাপ হয়ে পড়লে তিনি সেখানে চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন লোরেন। বলেছেন, সব থিতিয়ে গেলে ফিরব। এখন প্রাণে মরার ভয় পাচ্ছি। যদিও পুলিশের ওপর ভরসা আছে। পরস্পরের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের লড়াইটা কিন্তু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।
এমএনএসের ফতোয়ার পিছনে যুক্তি খুঁজে না পাওয়া লোরেনের বক্তব্য, শিল্পই একমাত্র ক্ষেত্র যেখানে দেশ, জাতীয়তাবাদের ভেদাভেদ নেই। ফাওয়াদের অনুরাগী সংখ্যা পাকিস্তানের চেয়ে বেশি ভারতে। পাকিস্তানিরা নিজেদের দেশের ছবির তুলনায় বেশি বলিউডি ছবি দেখেন। পাকিস্তানের থেকে বেশি মুসলিম থাকেন এ দেশে!
বলিউডেরও সমর্থন নেই রাজ-বাহিনীর হুঁশিয়ারিতে। ফাওয়াদ, মাহিরাকে ভারত থেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যেতে বলায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন হনসল মেহতা, বিক্রম ভট্টের মতো পরিচালকরা। হনসল ট্যুইটে বিদ্রুপ করেছেন, কেন্দ্রে পরের বার এমএনএসের সরকার হোক! একটা মাস্টার স্ট্রোকে তারা ভারত-পাকিস্তান সমস্যা মিটিয়ে দিল। আর সত্যিই তো, শিল্পীদের জন্যই তো যত সমস্যা! বিক্রম ভট্টের কথায়, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ঘোষিত হবে, এটা সুনিশ্চিত করার ওপর জোর দিতে হবে আমাদের। পাক কলাকুশলীদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা মানে তো বিষয়টাকেই তুচ্ছ করে ফেলা।