মহম্মদ আকবর নামে হায়দরাবাদের এক বাসিন্দা ইউটিউবে বিদেশমন্ত্রীকে বার্তা পাঠিয়ে বলেন, তাঁর মেয়ে মহম্মদিয়া বেগমের ওপর পাকিস্তানে অত্যাচার চলছে। তাঁর মেয়ে ভারতীয় নাগরিক, তাঁকে বাঁচানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগ নিক।
এরপরই সুষমার নির্দেশে ভারতীয় হাই কমিশন কর্মীরা মহম্মদিয়া বেগমের সঙ্গে দেখা করেন, তিনি জানান, দেশে ফিরে আসতে চান তিনি। ওই মহিলার পাসপোর্ট গত বছর এক্সপায়ার করে যাওয়ায় বিদেশমন্ত্রী তা রিনিউ করার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তাড়াতাড়ি তিনি ফিরে আসতে পারেন।
৪৪ বছরের মহম্মদিয়া তাঁর মা হাজারা বেগমকে ফোনে জানিয়েছেন, ভারতীয় হাই কমিশন কর্মীরা দেখা করে যাওয়ার পর স্বামী মহম্মদ ইউনিস মারধর করেছে তাঁকে, ঘরে তালা দিয়ে আটকে রেখেছে। সে হুমকি দিয়েছে, মহম্মদিয়াকে সে জ্যান্ত দেশে ফিরতে দেবে না। তাঁর মা পরামর্শ দিয়েছেন, যতদিন না হাই কমিশনের সাহায্য আসে, ততদিন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে।
হাজারা জানিয়েছেন, মহম্মদিয়া ও ইউনিসের বিয়ে হয়েছে ১৯৯৬-তে, তাঁদের ৫ ছেলেমেয়ে। ইউনিস ছেলেমেয়েদেরও মায়ের কাছে আসতে দেয় না, কারণ তিনি হিন্দুস্থানি ও তার মতে, হিন্দুস্থানি মাত্রেই হিন্দু। ইতিমধ্যে এক পাকিস্তানি মহিলাকে বিয়েও করেছে সে।
অভিযোগকারিণীর বাবা মহম্মদ আকবরের অভিযোগ, পেশায় মেকানিক মহম্মদ ইউনিস নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে তাঁর মেয়েকে বিয়ে করে। সে বলেছিল, সে ওমানের বাসিন্দা, তাই বিশ্বাস করে টেলিফোনে মেয়ের নিকাহ দেন তিনি। ম্যাসকটে গিয়ে মহম্মদিয়া সংসারও শুরু করেন। বিয়ের ১২ বছর পরে চাকরি খুইয়ে ইউনুস স্বীকার করে, সে আসলে পাকিস্তানি।
বিয়ের ২১ বছরে মাত্র একবার, ২০১২ সালে হায়দরাবাদ আসতে পেরেছিলেন মহম্মদিয়া। তাঁর মা জানিয়েছেন, নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে তাঁর মেয়ে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তাঁর এখনই চিকিৎসা জরুরি।