গত শুক্রবার, মহারাষ্ট্রের পালগড় জেলার দাদরা নগর হাভেলির কাছে গাদচিনলালে গ্রামে ৭০ বছরের এক সাধু সহ ৩ জনের গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও। আনুমানিক ৫০০ জনের হাতে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় ওই তিন ব্যক্তির। গুজরাতে সুরাতে উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন দুজন সাধু সহ তাঁদের এক গাড়ির চালক। সম্প্রতি সামনে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, পালগড়ে গণপিটুনির খবর পেয়ে সেখানে ৬ জন পুলিশকর্মীর একটি দল পৌঁছয়। কিন্তু ওই প্রবল ভিড়কে সামলাতে ব্যর্থ হয় তারা। প্রাণ বাঁচানোর আর্জি জানালেও ওই তিনজনকে রক্ষা করতে পারেনি তারা। এমনকি পুলিশের হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে মারা হয় ২ সাধু সহ এক গাড়িচালককে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ঠাকরে বলেন, 'পালগড়ের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তবে আমি অনুরোধ করব এই ঘটনায় কোনও ধর্মীয় রং না লাগাতে।' তিনি আরও জানান, পালগড় গণপিটুনির তদন্তভার ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে সিআইডির হাতে। ঘটনায় ৫ জন মূল অভিযুক্ত সহ ১১০ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে ২ জন পুলিশ অফিসারকেও। অভিযুক্তদের আপাতত ৩০ এপ্রিল অবধি পুলিশি হেফাজতে রাখা হবে বলে জানান ঠাকরে।
পালগড়কাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে জানান উদ্ধব। তিনি বলেন, রাজ্যস্তরের যে কোনও গণপিটুনির ঘটনাকেই কড়া হাতে দমন করার বার্তা দেন তাঁরাও। এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যল মিডিয়াতেও কোনও প্রকার ভুয়ো খবর বা উত্তেজনা ছড়ালেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন শাহ।