মুম্বই: ২০১২ সালে আইনজীবী পল্লবী পুরকায়স্থকে খুন করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পাওয়া সাজ্জাদ আহমেদ আবদুল আজিজ মুঘল বছর দেড়েক আগে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর উধাও হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে তার খোঁজ পাওয়া গেল। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তাকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ।

চলচ্চিত্র পরিচালক ফারহান আখতারের সংস্থা এক্সসেল এন্টারটেইনমেন্টের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতেন আইএএস অফিসারের মেয়ে পল্লবী। তাঁদের আবাসনের দারোয়ান হিসেবে কাজ করত সাজ্জাদ। সে ফ্ল্যাটের মধ্যেই পল্লবীকে খুন করে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পাওয়ার পর সে নাসিক সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর সে পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই তার খোঁজ করছিল পুলিশ। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ইন্সপেক্টর সঞ্জয় নিকমের নেতৃত্বে মুম্বই পুলিশের একটি দল সাজ্জাদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হল।

মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার দত্তা পদসলগিকর বলেছেন, সাজ্জাদের বাড়ি জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলার উরির সালামাবাদে। পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এই অঞ্চল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। এর আগে তিন-চারবার সেখানে গিয়েও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছিল পুলিশকে। তাঁরা জানতে পারেন, প্যারোল মুক্তি পাওয়ার পর গ্রামের বাড়ি গিয়ে মা ও অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করে সাজ্জাদ। উধাও হয়ে যাওয়ার পর সে ফের গ্রামের বাড়িতে যায়। তার গ্রামের লোকজনের দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সমর্থন সাজ্জাদের সঙ্গে থাকায় সাজ্জাদকে ধরা পুলিশের পক্ষে আরও কঠিন হয়ে যায়। পরিচয় গোপন করতে স্থানীয় লোকজনের মতো পোশাক পরেন পুলিশকর্মীরা। শ্রীনগরের কাছে গগনগীর গ্রামে একটি সুড়ঙ্গে কাজ করতে এলে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে নাসিক পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।