চণ্ডীগড়: তিনি নিজেকে তাঁর ‘পাপার পরী’ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। তিনি হনিপ্রীত ইনসান—ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত গুরমীত রাম রহিমের পালিতা কন্যা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হনিপ্রীতও তাঁর বাবার মতোই বহুগুণে নিপুণা। তিনি একাধারে মানবপ্রেমী, নির্দেশক, সম্পাদক এবং অভিনেত্রী। শোনা যায়, ডেরা প্রধানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী হলেন হনিপ্রীত। এমনকী, অনেকে মনে করেন, বাবার পর তিনিই সম্ভবত হতে চলেছেন ডেরা প্রধান।
শুক্রবার, যখন রাম রহিমকে পাঁচকুলার আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন গাড়িতে তাঁর পাশেই ছিলেন হনিপ্রীত। নিজের টুইটার ও ফেসবুক পেজে তাঁর ঘোষণা, রকস্টার বাবা-র নির্দেশনাকে বাস্তবে পরিণত করতে তিনি অত্যন্ত উৎসাহী।
ডেরা অনুগামীদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয় হনিপ্রীতও। টুইটারে তাঁর ১০ লক্ষের বেশি অনুগামী। ফেসবুকে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ৫ লক্ষের বেশি। সম্প্রতি, টুইটারে নিজের বাবা রাম রহিমকে ৫০ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান হনিপ্রীত। লেখেন, অভূতপূর্ব ৫০ বছরের জন্য অভিনন্দন। প্রত্যেক আঁধারে ভরা সময়কে উজ্জ্বলতম মুহূর্তে রূপান্তর করার জন্য ধন্যবাদ।
সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি, নিজের ওয়েবাসাইটও রয়েছে হনিপ্রীতের। সেখানে তাঁর সম্পর্কে লেখা হয়েছে—এক আসাধারণ বাবার মহান কন্যা। সেখানে বলা হয়েছে, কীভাবে গরিবদের কল্যাণে বিভিন্ন সেবামূলক কাজে জড়িয়ে থাকেন হনিপ্রীত।
রাম রহিমের অভিনীত ‘এমএসজি-২ দ্য ম্যাসেঞ্জার’ ছবিতে অভিনয় করেন হনিপ্রীত। এছাড়া, ‘এমএসজি- দ্য ওয়ারিয়র লায়ন হার্ট’ ছবিতেও বিশেষ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর পাশাপাশি, তিনি ছবিতে সম্পাদক ও নির্দেশক হিসেবেও কাজ করেছেন।