নয়াদিল্লি: পঠানকোট, উরি সহ দেশের একাধিক জায়গায় সন্ত্রাস হামলা না রুখতে পারার জন্য গোয়েন্দা-ব্যর্থতাকেই দায়ী করল সংসদীয় প্যানেল।


প্রাক্তন স্বরাষ্টমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের নেতৃত্বাধীন সংসদের স্থায়ী কমিটি (স্বরাষ্ট্র-বিষয়ক) জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি পঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। তার পর এক বছর কেটে গেলেও তদন্তের কাজ গোটাতে পারেনি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ।


ওই কমিটি আরও জানিয়েছে, এই হামলা প্রমাণ করেছে যে, তথ্য জোগাড়ে গোয়েন্দারা ‘ব্যর্থ’। যে কারণে, পঠানকোট, উরি, পাম্পোরে, বারামুল্লা ও নাগরোটার মতো ঘটনা ঘটেছে। দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ‘কাজে খামতি’ প্রকট হয়ে পড়েছে। কমিটি বলেছে, সবচেয়ে বড় কথা, কেন গোয়েন্দারা বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন, তার কোনও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে না।


পঠানকোট হামলায় সাত জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। ১৮ সেপ্টেম্বর উরির ব্রিগড হেডকোয়ার্টার্সের হামলায় ১৯ জওয়ান মারা যান। গত বছর ২৫ জুন পাম্পোরে হামলায় আধাসামরিক বাহিনীর ৮ জওয়ান মারা যান। অন্যদিকে, নাগরোটার সেনা বেসে হামলায় মারা গিয়েছিলেন সাত জওয়ান।


কমিটির সুপারিশ, যত দ্রুত সম্ভব এই তদন্তের কাজ শেষ করতে এনআইএ-কে নির্দেশ দিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এতে, সীমান্ত অঞ্চলে গোয়েন্দা-ব্যবস্থায় কোথায় গলদ রয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট হবে। সীমান্তের ওপার দিয়ে এদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় মারাত্মক বৃদ্ধি হয়েছে বলেও জানিয়েছে কমিটি।


২০১৬ সালে ৩৬৪ বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছে কেন্দ্র। এপ্রসঙ্গে কমিটির প্রস্তাব, কেন্দ্রের উচিত নিয়ন্ত্রণরেখার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা। তাদের খতিয়ে দেখা উচিত, সীমান্তে ঠিক কী খামতি রয়েছে, যেগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে জঙ্গিরা।


হালে জঙ্গিরা সুড়ঙ্গ কেটে এদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কমিটির আশঙ্কা, এখনই গোয়েন্দারা সতর্ক না হলে এটিই ভবিষ্যতে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। কারণ, সুড়ঙ্গকেই হাতিয়ার করে ভবিষ্যেতে বড় হামলা করতে পারে জঙ্গিরা বলে মনে করছে স্থায়ী কমিটি। তাদের প্রস্তাব, যে সব দেশে উচ্চমানের সুড়ঙ্গ সনাক্তকারী পদ্ধতি রয়েছে, তাদের সহায়তা নিতে পারে ভারত।