হায়দরাবাদ: ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে শুক্রবারের বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ হায়দরাবাদের ছেলে ফারহাজ আহসান নামে এক ইঞ্জিনিয়ার। গত ৭ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে কর্মসূত্রে রয়েছেন তিনি। বিয়ে থা করেছেন, দুটি সন্তানও হয়েছে। তাঁর কী হল, খবর না পেয়ে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তায় আকুল হায়দরাবাদে ফারহাজের বাড়ির লোকজন। ফারহাজের মা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, এখনও ছেলের কোনও খবর নেই। ফারহাজের কি খারাপ কিছু হয়েছে, উত্কন্ঠায় তিনি। ফারহাজের বাবা বলেছেন, শুক্রবারের প্রার্থনা সারতে ছেলে মসজিদে গিয়েছিল। এখনও বাড়ি ফেরেনি। প্রায় ১৭ জনের খোঁজ মেলেনি এখনও। সরকারকে আর্জি জানাই, ছেলে কোথায়, ভাল আছে কিনা, খোঁজখবর করে দেখা হোক।

গতকাল নিউজিল্যান্ডে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রার্থনারত অন্তত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সবাই ছিলেন মধ্য ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে। শহরতলির লিনউড মসজিদেও গুলি চলে। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে নজিরবিহীন এই নৃশংসতায় দুনিয়াজুড়ে শোকের ছায়া।
গতকাল হায়দরাবাদের এমপি, এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি ট্যুইট করেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফারহাজ এহসান ওই মসজিদেই গিয়েছিল বলে খবর। এখনও তাঁর কোনও খবর নেই। ওঁর পরিবার আছে হায়দরাবাদে। পরিবারকে অবিলম্বে সহায়তা দেওয়ার আবেদন করছি।

এদিকে মসজিদে গুলিবৃষ্টিতে জখম হায়দরাবাদের আরেক ভারতীয় আহমেদ ইকবাল জাহাঙ্গির নিউজিল্যান্ডের হাসপাতালে চিকিত্সায় সুস্থ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাই খুরশিদ জাহাঙ্গির। ইকবালের বুকে গুলি লেগেছে। খুরশিদ বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের ভিসার পেতে সাহায্য করায় সরকারকে ধন্যবাদ। আজ রওনা হচ্ছি ভাইয়ের কাছে পৌঁছতে। ওর বিপদ কেটেছে, ভাল হয়ে উঠছে।




বেসরকারি রিপোর্টে প্রকাশ, মসজিদে হামলার পর থেকে ৯ জন ভারতীয় নিখোঁজ বলে একটি সূত্রে বলা হয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার ব্যাপার থাকায় ঠিক কতজন ভারতীয় মারা গিয়েছেন, সরকারি ভাবে সেই খবর পেতে কিছুটা সময় লাগবে।