নয়াদিল্লি: বাজেট অধিবেশনের প্রাক্কালে সংসদকে ‘মহাপঞ্চায়েত’ উল্লেখ করে তার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য বিরোধীদের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের অতি-গুরুত্বপূর্ণ বাজেট অধিবেশন। পরের দিন, অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি একত্রে পেশ হতে চলেছে রেল ও সাধারণ বাজেট। তার আগে সোমবার স্পিকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বিরোধীদের বার্তা দেন মোদী। তিনি জানান, ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু, তার জন্য সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হওয়া উচিত নয়।


নোট বাতিল নিয়ে বিরোধীদের হই-হট্টগোলের জেরে কার্যত বানচাল হয় গোটা শীতকালীন অধিবেশন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার আগে থেকেই সতর্ক কেন্দ্র। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু জানান, বিরোধীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনের সময় দুপক্ষের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নমত থাকতেই পারে। তবে, সংসদ হল একটা ‘মহাপঞ্চায়েত’। একে সচল রাখাটা জরুরি।


এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে বাজেট পেশের নির্ঘণ্ট নিয়ে ফের সোচ্চার হয় বিরোধীরা। তাদের দাবি, বাজেটের ফলে পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব পড়বে। যদিও, সেই আপত্তি খারিজ করে শাসকদল। কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পূর্ব-নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই বাজেট পেশ করা হবে। এক্ষেত্রে, সুপ্রিম কোর্ট এবং নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করে মোদী সরকার।


এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, এদিনের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে জানানো হয়, বেআইনি আর্থিক কেলেঙ্কারি কাণ্ডে যেভাবে একের পর এক তৃণমূল সাংসদকে জেলে পোরা হয়েছে, তাতে কেন্দ্রের স্বৈরাচারী মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে। এর বিরোধিতা করে বাজেট অধিবেশনের প্রথম দুদিন সংসদে তাদের কোনও সদস্য উপস্থিত থাকবে না বলে জানিয়েছে তৃণমূল।