সংসদ সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য রবিবার সর্বদল বৈঠক ডাকে বিজেপি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্তব্য করেন, এটা সরকারের কৃতিত্ব নেওয়ার কোনও ব্যাপার নয়, দেশের স্বার্থেই জিএসটি বিল পাশ হওয়া জরুরি। রাজনৈতিক স্বার্থচিন্তার উর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুরোধ করেন তিনি।
কংগ্রেস অবশ্য জানিয়ে রেখেছে, তারা প্রতিটি বিলের ভাল মন্দ দুদিক খতিয়ে দেখেই তাকে সমর্থনের ব্যাপারে ভাববে। জিএসটি নিয়ে কোনও কথা দেয়নি তারা, বরং বলেছে, জিএসটি বিলের যে যে বিষয়গুলি নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে, সেগুলির ব্যাপারে সরকার লিখিতভাবে কিছু জানালে তবেই বিষয়টি ধর্তব্যের মধ্যে আনা হবে। তবে সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেসের ক্ষমতা ভালরকম খর্ব হওয়ায় এবার তাদের পক্ষে জিএসটি রুখে দেওয়া কঠিন। বরং অরুণাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে কেন্দ্রের সরকার ফেলে দেওয়া, কাশ্মীর অশান্তি ও উত্তরপ্রদেশের কৈরানায় সাম্প্রদায়িক সমস্যা নিয়ে অন্যান্য বিরোধীদের সঙ্গে এককাট্টা হয়ে তারা সরকারপক্ষকে ঝামেলায় ফেলতে পারে।
এর আগে প্রায় সবকটি অধিবেশন মূলত কংগ্রেসের ঝামেলার জেরে ভেস্তে গেছে। কিন্তু বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, দরকারি কয়েকটি বিল পাশ করিয়ে নিতে পেরেছে সরকারপক্ষ।